গাবতলীতে সতিনের শিশুকণ্যা আবিদাকে হত্যার অভিযোগে সৎ মা গ্রেফতার
গাবতলী(বগুড়া)প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার গাবতলীতে সু-কৌশলে বড় সতিনের সাড়ে ৩ বছরের শিশুকন্যা আবিদা খাতুনকে অপহরন করে চলন্ত বাসের মধ্য শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে সৎ মা রেহেনা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। রেহেনা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সর্ধনকুটি গ্রামের রজিত উদ্দীনের মেয়ে বলে জানা গেছে। নিহত আবিদার মা মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে সতিন রেহেনাকে একমাত্র আসামী করে গাবতলী মডেল থানায় গতকাল ২০ জুলাই ১ টি হত্যা মামলা করেছে। প্রাপ্ত এজাহার তথ্যসুত্রে জানাগেছে মাহফুজা বেগমের সাথে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কুড়ালিয়া পটল গ্রামের পিতা মৃত গোলাম আলী সরকারের ছেলে আব্দুল আউয়ালের বিবাহ হয়। দীর্ঘদিন বাদীনির কোন সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সাথে গামের্ন্টেসে চাকুরী করা গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সর্ধনকুটি গ্রামের রজিত উদ্দীনের মেয়ে রেহেনা বেগম(২৮)’র ৭ বছর আগে বিবাহ হয় এবং তার ১ টি সাড়ে ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর বাদীনি আবিদা খাতুনকে সাড়ে ৩ বছর আগে জন্ম দেয়। ২ সতিনের মধ্য স্বামীর কর্তৃত্ব নিয়ে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ১৮ জুলাই সকাল ৭ টায় আবিদাকে আশুলিয়া জামপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় তার দাদীর কাছে রেখে বাদীনি ও তার স্বামী আঃ আউয়াল গামের্ন্টেসে যায়। রাত পোনে ৮ টায় পাশের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হ্যাপি বেগম বাদীনিকে ফোনকরে জানায় তার মেয়ে আবিদাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সতিন রেহেনা বেগম সু-কৌশলে আবিদাকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। তখন রেহেনাকে মোবাইলে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি বাদীনি স্বামীকে জানায় ও তাকে নিয়ে সতিনের বাড়ী গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরদিন ১৯ জুলাই সতিন রেহেনাদের বাড়ীতে এসে তার বাবার মাধ্যমে জানতে পারেন রেহেনা সেখানে আসেনি। তখন রেহেনার বাবাকে নিয়ে বাদীনি ও তার স্বামীসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ নামক স্থানে আবারো সতিন রেহেনার মোবাইলে ফোন করলে সে জানায় আমি গাবতলী সর্ধনকুটি গ্রামে আসছি এবং আবিদা আমার সাথে আছে। ঐদিন সন্ধ্যে ৭ টায় বাদীনি ও তার স্বামীকে রেহেনার বাবা তার বাড়ীতে রেখে অন্যত্র পালিয়ে যায়। রাত ১০ টায় বাদীনি জানতে পারে তার মেয়ে আবিদাকে ১৯ জুলাই বিকেল ৩ টায় চলন্ত বাসে প্রথমে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাতে আবিদার মৃত্যু না হলে বাসের মধ্যই নাক, মুখ চেপে ও গলা টিপে ধরে সতিন রেহেনা হত্যা করেছে। রেহেনা বাবার বাড়ীতে এসে আবিদাকে খাটে শুয়ে রেছে পাশে বসে থাকা অবস্থায় স্থানীয় মেম্বারের সহায়তায় সতিন রেহেনাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ রেহেনাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে। এ ব্যাপারে মাহফুজা বেগম বাদীর মেয়ে আবিদাকে কৌশলে অপহরন করে খুন করার অপরাধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। মডেল থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান ও এসআই আবু জাররা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।