বগুড়ার মহাস্থানে পুরোনো মাদক বিক্রেতারা বেপরোয়া, দিনে জমিদার রাতে হয় রাজা
মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানে মাদক বিক্রেতারা আবারো বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চুটিয়ে মাদকদ্রব্য বেচা কেনা করছে। এরা দিনের বেলায় জমিদারের মতো ঘুম পারে আর রাতে হয়ে ওঠে রাজা। যথা শিগ্রই এই সব পুরোনো চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশি এ্যাকশন জরুরী প্রয়োজন।
গোপন সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান ও এর আশ পাশের চিহ্নিত পুরোনো মাদক বিক্রেতারা বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে।এই সব মাদক বিক্রেতারা পুলিশ প্রশাসন ও সচেতন মানুষদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য চুটিয়ে বিক্রি করে চলেছে।গোটা মহাস্থানের আনাচে কানাচে ফেন্সিডিলের শত শত খালি বোতল গুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকা গুলোই প্রমান করে দেয়, ফেন্সিডিলের বিক্রয় কতটা বিস্তার লাভ করেছে।
ফেন্সিডিলের খালি বোতল গুলো যে সকল স্থানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেখা যায়, তার মধ্য পশ্চিমপাড়ার আবর্জনা স্তুপে, পূর্ব পাড়ার নদীর ধারে, মহাস্থান কলেজের অদূরে ফসলের ক্ষেতে, যাদুঘর এলাকার পিকনিক স্পটে সহ অসংখ্য স্থানে।এসব দেখে মনে হয় ফেন্সিডিল ডাল ভাতে পরিণত হয়েছে।এক বোতল ফেন্সিডিল বর্তমান ৭ থেকে ৮ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে। ফেন্সিডিলের মূল্য চড়া হওয়ায় পরিচিত পেশাদার পুরোনো মাদক বিক্রেতারা স্কুল, কলেজ, পড়–য়া ছাত্রদেরকে হালকা দামে ডেক্সপোটেন নামের একশন মিলি বোতলের কাশের সিরাপ নেশা হিসেবে ব্যবহারে উৎসাহ যুগিয়ে আসক্ত করছে। ফলে অংকুরেই বিনষ্ট হচ্ছে ঐসব ছাত্র ও যুব সমাজ। মাদক বিক্রেতাদের খুটির জোর কোথায় তা অনেকে জেনেও না জানার ভান করছেন। পুরোনো ঔ সকল মাদক বিক্রেতারা দিনের বেলায় জমিদারের মতো ঘুম পারে, আর রাত হলেই এরা হয়ে যায় রাজার রাজা মহারাজা। রাত নয়টার পরে রাতের রাজারা এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ায় মাদক বিক্রির মিশন নিয়ে।এই মিশন চলে রাত তিনটা পর্যন্ত। কিছু ফেন্সিডিল বিক্রেতা কিছু অসাধু পুলিশের সাথে মোবাইলে সখ্যাতা গড়ে তোলে, যা সত্যই দুঃখ জনক ব্যাপার। মাদক বিক্রেতারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে খরিদ্দাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করছে, আর ঐসব ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল মাদক বিক্রেতাদের চামচা মারফত পৌছে দেয়া হচ্ছে।এরা যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়ে নিজেরা কোটি পতি হওয়ার টার্গেট নিয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এই সব চিহিৃত মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশি এ্যাকশন বিশেষ প্রয়োজন বলে সচেতন মানুষ মনে করছেন। তা না হলে ভবিষ্যতে এর চড়া মূল্য এই জাতিকেই দিতে হবে , এতে কোন সন্দেহ নেই। শুধু সাধারণ মানুষই নয় প্রশাসনের সন্তানরাও এদের হাত থেকে রেহায় পাবেনা।উলেখ যে সব স্থানগুলিতে উলেখ করা হয়েছে সেই স্থানের আশেপাশেই যুবসমাজ ধ্বংস কারী ঐসব মাদক দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা যায়।