বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের তিনটি ব্রীজ মরণফাঁদ যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে
আব্দুল বারী মহাস্থান (বগুড়া) থেকে: বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান করতোয়া নদীর উপর ব্রীজ চৌকির ঘাটে ঈছামতি নদীর উপর ব্রীজ ও চাপরিগঞ্জে গজারী নদীর উপর ব্রীজ তিনটি রাস্তার চেয়ে সরু হওয়ায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই ব্রীজগুলি যখন তৈরী করা হয় তখন রাস্তা ছিল সরু। এই রাস্তায় তখন হাতে গণা কয়েকটি যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল করত। চলাচল করত কিছু ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ী ও ঠেলাগাড়ি। বর্তমানে এই রাস্তায় দিবারাত্রি সব সময় হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হলেও ব্রীজগুলি স¤প্রসারণ করা হয় নাই। ফলে এই সরু ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে ও যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ীর গতি রোধের জন্য ব্রীজের দু’ধারে গতি প্রতিরোধক তৈরী করা হয়। কিন্তু গত ফেব্র“য়ারী মাসে মহাস্থান ব্রীজের দুই ধারের গতিরোধক ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ফলে অবারও দুর্ঘটনা শুরু হয়। গত কিছু দিন পূর্বে একটি দ্রত গামী ট্রাকের ধাক্কায় ব্রীজের পশ্চিম ধারের দক্ষিণ প্রান্তের রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে য্য়া। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ট্রাকে থাকা কয়েকটি তাজা প্রাণ। চৌকিরঘাট ব্রীজের দুই ধারে কয়েকজন প্রতিবন্ধী চলন্ত গাড়ি থেকে ভিক্ষা করে। মাঝে মধ্যে মাইক দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় সভার লোকজন টাকা আদায়ের লক্ষ্যে চলন্ত গাড়ি ও পথচারীদের গতি রোধ করে। এতে করে অনেক সময় আরো বেশি ঝুকির সম্মুখীন হতে হয়। মহাস্থান ও এর আশপাশের এলাকার শত শত শিক্ষার্থীরা যেমন আতংকে থাকেন, তেমনি অভিভাবকদের দু:শ্চিন্তা কম নয়। অন্যদিকে চাপরিগঞ্জ ব্রীজেরও একই দশা। গাড়ীর গতি রোধক দেয়া যেমন জরুরী হয়ে পড়েছে অন্যদিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্রীজগুলি প্রসস্ত করাও জরুরী হয়ে পড়েছে। সচেতন মানুষের দাবী দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে না পারলে প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষ দূর্ঘটনার স্বীকার হবে। আর এতে করে অকালে ঝরবে প্রাণ যা অনাংকাখিত। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন প্রয়োজন।