মুখ থুবরে পড়ে আছে গাবতলীর দক্ষিনপাড়ায় মোঘল স্থাপত্ত দূর্গা মন্দির সংস্কার জরুরী
গাবতলী (বগুড়া) থেকে আতাউর রহমানঃ
ধ্বংশের দাঁড়প্রান্তে বগুড়া গাবতলী উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের মোঘল স্থাপত্ত দূর্গা মন্দির । অযতেœ আর অবহেলায় ধ্বংশের দাঁড়ে এসে বাঁচার তাগিদে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে মন্দিরটি। মন্দিরের করুন কাহিনা তুলে ধরে একাধিক বার প্রতিবেদন করা হলেও কোন সচেতন মহলের টনক কখনোই নড়েনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ধ্বংশের দাড়প্রান্তে বগুড়া গাবতলীর দক্ষিনপাড়ার নাংলুহাটে মোঘল আমলের স্থাপত্য দূর্গা মন্দির। প্রায় সাড়ে ৩শ বছর পূর্বে নির্মিত মন্দিরটি এখন শুধুই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অযতœ আর অবহেলায় প্রান চাঞ্চল্য হারিয়েছে মন্দিরের পরিবেশ। পাতলা ইট, চুন শুরকি আর বালু মিশ্্িরত আবরনে নির্মিত মন্দিরটি এখন ধ্বংশের দাঁড়ে বাঁচার তাগিদে হাত নাড়িয়ে কারুতি মিনতি করছে। ঐ এলাকার হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন বেশী হওয়ায় মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের বংশের শাষকরা হিন্দুদের পূজা অর্চনা করার জন্য নির্মান করে দিয়েছিল এই মনমুগ্ধকর কারুকার সম্বৃদ্ধ মন্দিরটি । ঐ মন্দিওে বর্তমান পূজারী(ঠাকুর) জানান তার ঠাকুর দাদার বাবা এই মন্দিরেরই ব্রামন ছিলেন। এছাড়া এই মন্দিরকে ঘিরে এ এলাকায় এক সময় মেলা বসত। মন্দিরের পাশ্বের দোকানদার খোকন চন্দ্র জানান, স্বাধীনতার আগে এ মন্দিরে জমকালো আয়োজনে দূর্গাপুজো হত, কিন্তু মন্দিরের ভগ্নাদশার কারনে এখানে শুধ দূর্গাপুজো ছাড়া আর অন্যকোন পুজো করতে আসে না স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলীরা। হাটে আসা মানুষ মন্দিরটি এক নজর দর্শন করে। অনেকেই মন্দিরটি সংস্কারের জন্য হিন্দুদেরকে উদ্বুর্ধ করে। হিন্দু ধর্মের লোকজন নিজ নিজ পাড়া-মহলায় মন্দির নির্মানের কারনে এই সূচারু মন্দিরটির উপর থেকে মায়া তুলে নিয়েছে। সচেতনমহল মন্দিরটির সংস্কার করার জন্য প্রতœত্তত্ব বিভাগসহ সংশিল্ট কর্তৃপক্ষর নেক দৃষ্টি কামনা করেছেন।