সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতা
সংবাদ আজকাল,ডেক্সঃ সাইবার ক্রাইম আমাদের দক্ষিন এশিয়ান দেশগুলিতে পশ্চিমা দেশের মতই ভয়াবহ আকারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। ব্যক্তি কিংবা কোন চক্র পরিকল্পনামাফিক অনেক মানুষকে প্রতারণা কিংবা হয়রানি করছে। ইন্টারনেট এমন একটি জগত একে হাতে ধরে কোন রকমের আলাদা নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নেয়।
আপনি যদি একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হন আপনাকেই আগে জেনে নিতে হবে এই ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচতে হলে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু তাই নয় এখন একজন ১৩ বছর বয়সীও আইনগতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে। আমাদের দেশের অনেক শিশু কিশোর নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তাই শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট জগতের সাথে পরিচয় করানোর সাথে সাথে তাদের জানিয়ে দিন কিভাবে ইন্টারনেটে নিজের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সবার আগে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার ডিভাইসটি সুরক্ষিত আছে কিনা। যদি যথাযথ সুরক্ষা না নেন যে কেউ আপনার ডিভাইসের তথ্য চুরি করতে পারে। তাই সর্বপ্রথম একটি ভালো মানের অ্যান্টি ভাইরাস ইন্সটল করুন। ক্যাস্পারস্কি এবং নরটন ইত্যাদি অ্যান্টি ভাইরাস ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় ১ বছরের জন্য ডিভাইসকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
এরপর আপনার পার্সোনাল ই মেইল হতে হবে সুরক্ষিত।
বর্তমানে মেইল অ্যাকাউন্টের সাথেই স্প্যাম ব্লকার ফিচার দিয়ে দেয়া হয়। স্প্যাম ই মেইল যেকোনো ই মেইল অ্যাড্রেসে আসতে পারে এবং এতে নানা রকম লোভনীয় তথ্য কিংবা অফার দেয়া হয় কখনোবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়। এই ধরনের ই মেইল বর্তমানে জিমেইল, ইয়াহু অটো ফিল্টার করে স্প্যাম ফোল্ডারে রেখে দেয়। কিন্তু অনেক সময় ইনবক্সে যদি এমন ই মেইল পান, খেয়াল রাখুন কখনোই অই ইমেইলের প্রদত্ত কোন লিঙ্ক বা ছবি কিছুতে ক্লিক করবেন না
সম্ভব হলে মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমের কপিরাইট ব্যবহার না করে আসল ভার্শন ব্যবহার করুন।
যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড কারও সাথে শেয়ার করবেন না। চেষ্টা করুন এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড কিছুটা কঠিন রাখান এবং লেটার, নাম্বার উভয়ই পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করুন।
সবসময় ভেরিফাইড ই কমার্স সাইট থেকে শপিং করুন বা টাকা ট্রান্সফার করুন। দেখুন নির্দিষ্ট সাইটের অ্যাড্রেসে https” আছে কিনা। TRUSTe বা VeriSign seal দেখে আপনি ইন্টারন্যাশনাল সাইটগুলি ভেরিফাইড কিনা বুঝতে পারবেন।
অপরিচিত কারো থেকে প্রাপ্ত কোন লিঙ্ক বা ছবিতে ক্লিক করবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাইভেসির ব্যাপারে সতর্ক হোন। ছবি, পরিচিতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রাইভেসি দিয়ে রাখুন।
যেই পাসওয়ার্ড আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে ব্যবহার করেছেন তা আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং অন্য কোন সাইটের রেজিস্ট্রেশানে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ফেসবুকের ভেরিফাইড না এমন অ্যাপ্স এবং গেমসের রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
যেকোনো সাইটেই না বুঝে রেজিস্ট্রেশান করবেন না এবং নিজস্ব তথ্য শেয়ার করবেন না।
কিছু সময় পর পর সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
এরপরও কোন রকম হয়রানির শিকার হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নিবেন। যেকোনো জরুরি সাহায্যের জন্য কল করুন – সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নাম্বারে – 01766678888