গাবতলী
-
-
VLUU L100, M100 / Samsung L100, M100
(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী লোকক্রীড়া ‘গ্রামীন খেলাধুলা। ফলে ঝিমিয়ে পড়ছে গ্রামীণ ক্রীড়াঙ্গন। উপজেলার কাগইল, সোনারায়, দক্ষিনপাড়া, নেপালতলী, রামেশ্বরপুর, দূর্গাহাটা, গাবতলী সদর, মহিষাবান, নশিপুর, নাড়–য়ামালা, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের গ্রামের মাঠে লোকক্রীড়া’র জোয়ারে পলীবাসী আনন্দ উলাসে মেতে থাকত। প্রাণবন্ত হয়ে উঠত গ্রামের হতাশা কষ্টে থাকা মানুষের মন। সেই পলী এলাকার মাঝির গান, জারিগান, রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত, বাউল, পথ ও মঞ্চ নাটকসহ বাঁশির সুর আর পলী বধুঁ’র হাসি এখন আর কারও দৃষ্টি কাড়ে না। দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত বউছি, কানামাছি, লাঠি খেলা, নৌকা বাইচ, পুতুল নাচ, চেয়ার দখল, বিস্কুট খাওয়া, দৌড়, লুডুখেলা, ব্যাঙ্গ ও মোরগ লড়াই, পাতা খেলা, বর্ষা-লোহবল নিক্ষেপ, উচ্চ ও দীর্ঘলম্প, হা-ডু-ডু, কাবাডি, গ্যাদন, দাঁড়িয়াবাঁধা, বুড়ি-কু, গোলাছুট খেলাসহ দেশের ঐতিহ্যে লালিত লোক ক্রীড়াকে বাঁচিয়ে রাখার মত কোন পৃষ্ঠপোষকতা আর নেই। তাই পলীবাসী আজ নীরব-নিথর রয়েছে। ভাড়া করা পপসংগীত আর ডিসকো নাচের ফলে বিলুপ্ত হতে চলেছে জারি-সারি, ভাবকবি পলীগীতি ও মারফতিসহ ভাটিয়ালী গান। তেমনি হকি, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন আর ফুটবলের উচ্ছল বন্যায় ভেসে যাচ্ছে গাবতলী তথা বাঙ্গালী জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য। গ্রামবাসীর নিকট সেই লোক ক্রীড়া আজ শুধু অতীত স্মৃতি হিসেবে চিিহ্নত হতে চলেছে। এমন এক সময় ছিল যখন গ্রাম্যঞ্চলে লোকক্রীড়া জনপ্রিয় ছিল। এক অনাবিল আনন্দ উলাসে জনজীবন হয়ে উঠত প্রাণবন্ত। যে সব দল খেলায় অংশগ্রহণ করত সে সকল দল বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা’য় বাদকদল নিয়ে ঢাক-ঢোল বাঁশি বাজিয়ে মাঠে প্রবেশ করত। উৎসুক দর্শনার্থীদের কলরবে ভরে উঠত মাঠ ঘাট আর পথ প্রান্তর। তবে গ্রামীন খেলা মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকে। হারিয়ে যাওয়া ‘গ্রামীন খেলা’ গুলো ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।