হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা ব্যস্থতা বেড়েছে লেপতোষক কারীগড়দের
গাবতলী(বগুড়া)থেকে আতাউর রহমানঃ হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আস্তে আস্তে পড়তে শুরু করেছে শীত তাই আগে ভাগেই হার কাঁপানো শীত থেকে বাঁচতে চলছে শীত উপশমকারী বস্ত্র লেপ তোষক তৈরির কাজ। জেলা ও উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যারের কারগিররা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়ছেনে লেপ-তোষক বানানোর কাজে। ক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে লেপ-তোষকের দোকানগুলোয়। শীতে উষ্ণতায় লেপের কদরই আলাদা। এবার কার্তিকের শেষে শীতের আগমন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরির্বতনের কারণে আশ্বিনে গা শিন শিন করার ভাব প্রকৃতিতে না পাওয়া গেলেও কার্তিকের শেষে শীতের অনুভূতি মিলছে। দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা আর সাত সকালে ঘাস, লতাপাতার ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দেয় শীত এসে গেছে। তৈরী হও শীতবস্ত্র নিয়ে শীত মোকাবেলায়। ফলে শুরু হয়েেছ শীতে ব্যবহার্য লেপ বানানোর কাজ। শীতকে কেন্দ্র করে মহানগরীর ও উপজেলার বিভিন্ন দোকানগুলোতে চলছে লেপ তৈরির ব্যস্ততা। শীতরে প্রস্তুতি বলতে গরম কাপড়কে আমরা বুঝে থাকি। আর রাতে গায়ে দেয়ার জন্য লেপ, কম্বল বা কাঁথা। এবার র্কাপাস তুলায় প্রতি ডবল লেপে তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১২ থেেক ১৫’শ টাকা এবং সিঙ্গেল লেপ তৈরিতে ৭ থেকে ৯’শ টাকা খরচ হচ্ছে জানান গাবতলীর পীরগাছা বন্দরের লেপ তোষকের দোকানদার ও ক্রেতারা। শীতকে কেন্দ্র করে এলাকায় লেপ-তোষকের দোকানে লেপ বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনরে তুলা স্তুপকৃত দেখা যায়। শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় লেপ বানানোর জন্য আগাম এ প্রস্তুতি রেখেছেন দোকানরিা। কারিগররা তাদের অর্ডার মোতাবেক লেপ সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া দোকানগুলোতে রেডিমেড লেপ বিক্রিয়ের জন্য আগাম সেলাই করে প্রস্তুত রাখতে দেখা যায়। গাবতলী উপজেলা মোড়,পীরগাছা ও কাগইল এলাকার রাস্তার ধারে দিয়ে কারগিররা লেপ-তোষক তৈরি করতে সময় পার করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত লেপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকনে কারগিররা। শীতের হাত থেকে বাঁচতে আবহমানকাল থেকে চলছে লেপ তৈরির কাজ। লেপ তৈরিতে লাল মার্কিন সুতি কাপড়, থান কাপড় ব্যবহার,কার্পাস তুলা, সাদা মিডিয়াম মোটা ঝিল সুতা, বড় এবং মাঝারি সুই। এছাড়া সাদা তুলা, কালো তুলা, র্কাপাস তুলা, শিমুল তুলা দিয়ে লেপেরে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জিনিসি তৈরি করছেন কারিগররা। তবে শিমুল তুলার বালিশ ভাল হয় বলে এ তুলা দিয়ে বালিশ বানানো হচ্ছে। পীরগাছা চেলোপাড়া বাজার এলাকার লেপ তৈরির কারগির শাহীদুল ইসলাম জানান, এখন শীত বেশি না পড়ালেও লেপ তৈরির কাজ ও দেদাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে। মাঘ মাসে শীতের সময় কাজ কম হয়। কারণ তার আগেই লেপ তৈরি করেন ক্রেতারা।