অসত্য তথ্যে অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:46 PM, 18 December 2019

আজ বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে অসত্য তথ্যে অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি থেকে অব্যাহতির আকুতি জানিয়ে অতি উৎসাহী তদন্তকারী অসৎ পুলিশ সদস্য বগুড়া সদর থানার এস আই নূর আলমসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর সরকারের গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর বৃদ্ধ স্ত্রী মোছা: রেজিয়া বেওয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, আমার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বগুড়ার একটি হোটেলে চাকুরীর সুবাদে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা বগুড়া সদরের পওয়ার হাউজ ওয়াবদা কলোনী বিউবো পুরান বগুড়ার ইমাম আবু সাঈদ-এর কন্যা সুমাইয়া আক্তার রিতুকে গত ২০/০৮/১৯ তারিখে রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে করে। যা এফিডেভিট ও পত্রিকার মাধ্যমে ঘোষণাও করে। পরবর্তীতে সুমাইয়ার বাবা বাধসাধে হোটেল শ্রমিক বলে। পরে তিনি একটি জিডি করেন বগুড়া সদর থানায়। এই জিডি মূলে পুলিশ আমিসহ আরো ১ জনকে ধরে অপহরণ মামলা দেয়। পরে মেয়ের বাবা ইমাম আবু সাঈদ ০৫-০৯-১৯ তারিখে বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অপহরণ মামরা করেন। অপহরণের অভিযোগে আমাদের দুজনকে আটক দেখানো হয়। যার মধ্যে ছিল এখন আমাদের মাঝে উপস্থিত চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নাবালক কিশোর তাছির। আপনারা দেখুন এই ছেলেকে কিভাবে মামলা দিয়ে জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। যার স্কুলের সার্টিফিকেটে বয়স রয়েছে ১২বছর।

সংসারের টানে পরপর ২বার ঘর ছেড়েছিল আমার ছেলের বউ রিতু। দুবারই আমরা রিতুকে ফেরত পাঠিয়েছিলাম তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সম্মতিতে বিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তার বাবা-মা তাতে সায় দেননি। সর্বশেষ আমার ছেলেকে মোবাইলে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় এবং নিজে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয় যার মোবাইল রেকডিং রয়েছে। পরে আ: রাজ্জাক সুমাইয়া আক্তার রিতুকে গত ২০/০৮/১৯ তারিখে রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে করে। বগুড়া সদর থানার এসআই তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম মোটা অর্থের বিনিময়ে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলায় সর্বসান্ত করার হুমকি দেন। ২ লক্ষ টাকার না দিলে স্কুল পড়–য়া নাবালক তাছিরকেও স্বাবালক দেখিয়ে চালান দেয়া হবে হুমকি দেন। পরবর্তীতে আমরা টাকা না দিলে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে হুমকিকে বাস্তবায়ন করেন। আমার নাতি চিলমারীরর সবুজপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে নাবালক তাছিরকে ১৯ বছরের উল্লেখ করে ৬-৯-১৯ইং আসামী চালান করেন তিনি।


এছাড়াও আমিনুল ইসলাম ,পিতা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সরকারপাড়া থানা চিলমারী জেলা কুড়িগ্রাম সে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য বগুড়া কোর্টে আসলে, তাকে দুবৃত্তদের মাধ্যমে কোর্টের বাহিরে থেকে ধরে নিয়ে এসআই নূর আলমের নির্দেশে পকেটমার সাজিয়ে প্রথমে তিনদিন ধরে মারপিট করে নির্যাতন চালায়। একজন আসামীকে কিভাবে তিনদিন ধরে থানায় আটকে রাখা যায়? যেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে আদালতে পাঠানোর নিয়ম। সেই নিয়মও অমান্য করেছেন এস আই নূর আলম। মোবাইল ও নগদ ৮ হাজার টাকা ছিল তিনি আর দিচ্ছেননা। আমরা কোর্টে আসাও নিরাপদ মনে করছিনা। একই সাথে মামলায় মেয়েটির বাবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েকে নাবালিকা দেখিয়েছে যার প্রমাণ সুমাইয়ার জন্ম নিবন্ধন, স্কুল সার্টিফিকেট-এ জন্ম তারিখ রয়েছে ২৬-১২-২০০০ খিঃ। আমার ছেলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করতে চায়। আমার দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য কি তা যাচাই বাছাই করে যেন ন্যায়টা পাই। আ: রাজ্জাক বলেছে-তা না হলে আত্মহত্যার মতো অদ্ধকার পথ বেছে নেয়া ছাড়া কোন রাস্তা নেই। আমার দাবি ছেলের বউকে জোর করে আটকে রেখে হয়রানী করা হচ্ছ্ েআমাদের। ছেলের বউকে ফেরত চাই। দুইটা জীবন ও কয়েকটা পরিবার রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,পুলিশের আইজিসহ বগুড়ার পুলিশ সুপারের ন্যায়সঙ্গত হস্তক্ষেপ চাই। জানতে চাই কেন আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হলো, কেন নাবালক ছাত্রকে সাবালক দেখিয়ে জেলে থাকতে হলো, কেন? এর বিচার চাই। আমি আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ীব্যক্তি, অসৎ পুলিশের শাস্তি চাই।

আপনার মতামত লিখুন :