আসলের চেয়ে নকলের কদর বেশি,কাজের চেয়ে তেলের দাম দেশি।

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:24 PM, 09 June 2020

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সারিয়াকান্দি (বগূড়া) প্রতিনিধি ঃ- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় অস্বচ্ছল সাংস্কৃতিক সেবীদের কথা চিন্তা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে একবার এই ভাতা প্রদান করেন।কিন্তু প্রকৃত অসহায় সাংস্কৃতিক সেবীরা এই ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।কারন এই দুনিয়ায় আসলের চেয়ে নকলের কদর বেশি,আবার কাজের চেয়ে তেলের দাম বেশি।যারা আসল অসচ্ছল এবং সাংস্কৃতিক এর সাথে সম্পৃক্ত এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ে কাজ করেন তারা তেল মারতে যান না।
কিন্তু সচ্ছল অসাংস্কৃতিক  ব্যাক্তিরা বিভিন্ন অঙ্গি ভঙ্গিতে নিজেকে আসল অ অসচ্ছল সাংস্কৃতিক সেবী হিসাবে জাহির করেন।খোজ নিয়ে যানা যায় তাদের সাংসারিক অবস্থা খুবই ভালো।ছেলে মেয়েরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি করেন কারো বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে।তারাই দীর্ঘদিন হলে এ ভাতা পাচ্ছেন।সরকারের  প্রতি আসল সাংস্কৃতিক সেবীদের দাবি আমরা বঞ্চিত হেলেও নকলেরা যেনো সরকারি অর্থ আর আত্বসাত করতে না পারে।  তবে  কিছু কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের সজনপৃতি ও তেল শোষনকারী কিছু নেতাদের কারনে নকলেরা এই সুযোগ বাগিয়ে নেয়। চলতি অর্থ বছরে চেক প্রদান এর সময়ে যেনো সকলের  উপস্তিতিতে সাক্ষাৎকার গ্রহন পূর্বক ওই ভাতার চেক প্রদান করা হয়।প্রতি বছর ভাতা প্রদান এর জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় হতে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।গত বিজ্ঞাপনে দেখা গেলো যারা ১৯/২০অর্থ বছরে ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নাই।অথচ চলতি বছরের ভাতা প্রদানের তালিকায়  গত বছরে ভাতা প্রাপ্ত  সাংস্কৃতিক  সেবীদের বর্তমান তালিকায় নাম নাই।বাদ পড়া সাংস্কৃতিক সেবীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, কি দোষ থাকার কারনে আমাদের নাম বাদ পরেছে আমরা জানিওনা বুঝতেও পারলাম না।এই বিষয়টি যেনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ  সহানুভূতির সহিত আমলে নেন।তাদের সহানুভূতিতেই বাদ পরাদের নাম তালিকায় ওঠা সম্ভব।

আপনার মতামত লিখুন :