এনার্জি ড্রিংকসের নামে উত্তেজক পানীয় বিক্রি, মহা সংকটে জন স্বাস্থ্য

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:04 AM, 10 November 2019

মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ফাষ্ট ফুড, বেকারী, পানের দোকান এবং মুদি দোকান গুলোতে এনার্জি ড্রিংকসের আড়ালে চলছে যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতিয় পানিয়র রমরমা বাণিজ্য। কোম্পানি গুলো মোরক পালটিয়ে ও প্রসাশনের নজর এড়িয়ে এই সব পানিয় বিক্রি করছে বহুদিন ধরে । এসব পানিয় বিক্রি সরকারী ভাবে নিষেধাঙ্গা থাকলেও কোম্পানী গুলো মোরক ও নাম পালটিয়ে এইসব উত্তেজক নতুন নাম ও মোড়কে বিক্রি করছে। মাদক সেবিরা কেউ কেউ এইসব উত্তেজক পান করছে মাদকের বিকল্প হিসাবে। অনেক সাধারণ মানুষও ক্ষতিকর জেনেও এইসব পানিয় পান করছে। এদের মধ্যে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ফাষ্ট ফুড, বেকারী, চা এর দোকান, পানের দোকান ও মুদি দোকান সহ ওলিগলি ঘুড়ে দেখা গেছে প্রায় দোকানেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকষর্ণ করতে দোকানিরা সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রেখেছে ওই সব পানিয় সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকস। এসবের মধ্যে রয়েছে পাওয়ার হর্স, মন পাওয়ার হর্স, ফিলিং হর্স, বøাক হর্স, পাওয়ার অফ জিংকারাজাত, ম্যান পাওয়া, রেড বল্ড, রেস ও জিনজেন সহ বিভিন্ন ধরনের পানিয়। মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা না জেনেও পান করছে স্থানীয়রা। অনেকে আবার বন্ধুদের আড্ডায় বসে পান করছে এই সব ক্ষতিকর পানিয়। গোপন সূত্রে জানা যায় এসব পান করে অনেকেই লিপ্ত হয় জঘন্যতম অপরাধ ধর্ষন সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে। এদিকে ভালো চাহিদা এবং বেশি মুনাফার আশায় ক্ষতিকর জানার পরেও এগুলো বিক্রিয় করছে বলে একাধিক দোকানি জানান। এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান এ ধরনের পানীয় তৈরী বা বিক্রি করতে ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ ধরনের পানীয় লাইসেন্স দেয় না। কারণ এ সব পানীয় পান করলে মানব দেহে রক্ত চাপ বেড়ে যায়, কিডনি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা মারাও যেতে পারে। সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য এই ধরনের উত্তজক পানীয় কিছুটা হলেও দায়ি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রাসেল মিয়া বলেন যেহেতু এই সকল পানীয় তৈরী এবং বিক্রিতে হাইর্কোটের নিষেধাঙ্গা আছে। তারপরেও এই ধরনের ব্যবসা যদি কেউ করে তাহলে অভিযান করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :