কালিয়াকৈরে যুবলীগ নেতা কর্তৃক অন্যর গরু জবাইয়ের কর্মকান্ডের তদন্ত কমিটি গঠন: সাংবাদিকদের সাথে অসোভনীয় আচারণ

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:49 PM, 22 September 2019

শাহআলম ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি :
কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়ন যুবলীগের সভপতি ও ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের নামে অন্যের গরু জবাই করে দিনভর সহযোগীদের নিয়ে উল্লাস করার সংবাদ দৈনিক কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: হিরো মিয়া ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে জানান, যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে নিয়ে এধরনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় গাজীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস.এম আলতাব হোসেনের নির্দেশে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: জসিম আহমেদের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটি অভিযোগের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক মাস পূর্বে উপজেলার মাঝুখান এলাকায় আবু তালেবের বাড়ীতে অজ্ঞাত কৃষকের একটি লাল রংয়ের গরু আসে। গরুটি বেশ কিছুদিন তারা লালন পালন করতে থাকেন। পরে আবু তালেবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রাজা মিয়া বেশ কিছুদিন গরুটি দেখা শোনা করেন, ভাড়াটিয়া রাজা মিয়া বাসা ছেড়ে দিয়ে একই এলাকার সোহাগের বাসা ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজা মিয়া কাউকে না জানিয়ে গরুটি তার নতুন বাসায় নিয়ে যায়।

সকালে আবু তালেবের স্ত্রী গরু বের করার জন্য গেলে গাভীটি দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর এক পর্যায় জানতে পারে ওই ভাড়াটিয়া রাজা মিয়া তার গরুটি নিয়ে গেছে। আবু তালেব গরুটি আনতে গেলে রাজা মিয়ার বাসার মালিক ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতিসাহাগ হোসেন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন।

পরে সকালে ওই এলাকার প্রভাবশালী ইউপি সদস্য ও মৌচাক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনের নেতৃতে গরুটি জবাই করা হয় এবং মাংস দিয়ে খিচুরী রান্না করে তার সহযোগীদের নিয়ে দিনভর আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন “ ইউএনও‘র অনুমতি নিয়েই গরুটি ১০ হাজার টাকা দাম ধরে জবাই করেছি এবং টাকাগুলো মাদ্রাসায় দান করেছি।

জবাই করে মাংস খেয়েছি,তোমাদের কি? তোমরা সাংবাদিকরা যা পার কর গিয়ে”। মাঝুখান মাদ্রাসার কোষাধক্ষ্য আতাউর রহমান জানান, এ বিষয়টি আমাদের জানা নাই,তহবিলে কোন টাকা জমা হয় নাই।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ হিরো মিয়া বলেন “ যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের নামে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী হাফিজুল আমিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই,আমাকে কেউ অবগত করেনি।

আপনার মতামত লিখুন :