গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে প্রাথমিক সমাপনী পরিক্ষায়ও নকলের অভিযোগ

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:20 PM, 18 November 2019

সংবাদ আজকাল ,ডেক্সঃ গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে পরীক্ষায় নকলের ঘটনা যেন থামছেই না। সাম্প্রতিক জে এস সি, জে ডে সি সমমানের পরিক্ষার পর এবার, ৫ম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়ও প্রায় প্রতিদিনই নকল চলছে বলে খবর বেড়িয়েছে।

মহিমাগঞ্জের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। মহিমাগঞ্জ হাইস্কুল দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট পরই কেন্দ্রের আশেপাশে দলে দলে ভাগ হয়ে কিছু একটা করার জটলা চোখে পড়ে। কৌতুহল বশত একটু এগিয়ে গিয়েই দেখা গেল- প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে সাদা কাগজে উত্তর লিখছেন অভিভাবকরা। এ যেন অভিভাবকদের পরীক্ষা চলছে।

আজ ১৮ (নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন মহিমাগঞ্জ হাইস্কুল ও মহিমাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে। নকল সরবারহের কথা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই, স্থানীয় কোচিং প্রাইভেট স্কুল গুলো কে দায়ী করে। তারা নকল সরবরাহ করছে বলে জানান।

দায়িত্বরত শিক্ষকদের ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের কাছ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নকল। অভিভাবক কিংবা স্যারদের দেয়া নকল দেখেই পরীক্ষার মূল উত্তরপত্রে লিখছে শিক্ষার্থীরা।

গত কয়েক দিন আগেও সংবাদ আজকাল পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে মহিমাগঞ্জের পরিক্ষা কেন্দ্রে নকলের অভিযোগ নিয়ে নিয়ে একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় বেশ কিছু তরুদের চেষ্টায় অভিভাবক এবং ছাত্রদের সচেতন করতে বেশ কিছু লিফলেট বিতরন করেন পরিক্ষার শুরুর দিনেই।কিন্তু কে বা শুনে কার কথা। সব কিছু উপেক্ষা করে মনে হয় চলছে নকল এর পরিক্ষা। তরুন দের দাবী স্কুলের স্যাররা সরাসরি দায়ী এর জন্য।

তরুনদের আরেক জন সংবাদ আজকালকে জানান আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে স্যার “রা,অভিভাবক রা আমাদের গালি দেয়।এই ভার্সিটি পড়া তরুণদের আহব্বান কোমল মতি শিক্ষার্থীরা যেন নকল মুক্ত পরিক্ষা দিতে পারেন এ জন্য উপজেলা প্রশাসন কে সু দৃষ্টি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।এবং কেন্দ্রে গুলো তো পরিদর্শন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ।তাদের দাবী এভাবে চলতে থাকলে মেধা শুন্য হবে বাংলাদেশ।এ প্লাস নিয়ে কি হবে যদি না সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয় আগামীর প্রজন্ম ।

আপনার মতামত লিখুন :