গোবিন্দগঞ্জে অনুমতি ছাড়া আজিজুল হক জিহাদীর মাহফিলে হাতাহাতি,গ্রেফতার-৩

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:03 PM, 09 December 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: পুলিশ প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক অনুমতিহীন বক্তা দ্বারা করা ওয়াজ মাহফিলে হাতাহাতিতে পুলিশের গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের গোমড়া দীঘি গ্রামে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়,ওয়াজ মাহফিলের জন্য মৌখিক অনুমতি নিলেও প্রধান বক্তা আজিজুল হক জিহাদী যে বক্তব্য দিবে সেই বিষয়ে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রধান বক্তা আজিজুল হক জিহাদী বক্তব্য দেওয়া শুরু করে। এসময় পুলিশ উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের সাথে হাতাহাতি শুরু করলে পুলিশ ফাঁকায় পাঁচ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ে আনে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো,বরশাও গ্রামের আলী আনছারের ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৫), রাজা বিরাট গ্রামের আব্দুল হাকিম মন্ডলের ছেলে মিসবাউল ইসলাম (৩২) ও বরশাও গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে নয়ন আহম্মেদ সরকার (২৫)।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের গোমড়া দীঘি গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন আজিজুল হক জিহাদী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বক্তা আজিজুল হক জিহাদীর বক্তব্য প্রায় আধা ঘন্টা হওয়ার পর হঠাৎ করেই পুলিশ মাহফিলের প্যান্ডেলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে বক্তা আজিজুল হক জিহাদ মঞ্চ থেকে নেমে গেলে উপস্থিত মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় এসআই মনজু আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ নিজেদের রক্ষায় পাঁচ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনায় রৈবাগী হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক এমরান কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, প্রধান বক্তা আজিজুল হক জিহাদীর ওয়াজ মাহফিল করার কোন অনুমতি ছিল না। পুলিশ ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হলে উপস্থিত মুসল্লী পুলিশের সাথে হাতাহাতি করে।

আপনার মতামত লিখুন :