ডিএনসিসির সেবা মিলবে হটলাইন ৩৩৩

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:05 PM, 13 November 2019

সাহাব উদ্দীন রাফেল,স্টাফ প্রতিনিধি : নাগরিক সেবা হটলাইন নম্বর ৩৩৩ এ কল করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের সেবা, তথ্য ও অভিযোগ নিষ্পত্তি এখন থেকে পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সেবার তথ্য নাগরিকেরা মুঠোফোনেই বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা পাবেন। দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ডিএনসিসি প্রথম এ ধরনের সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “তথ্য সেবা সবসময়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধামন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩৩ এর উদ্বোধন করেন। দেশের একাধিক মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ এরই মধ্যে সফলতার সাথে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম সিটি কর্পোরেশন হিসাবে ডিএনসিসি আজ থেকে যুক্ত হলো এই আধুনিক সেবা প্রদান কার্যক্রমের সাথে। তিনি বলেন, ডিএনসিসির মেয়র বারবার এ জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। তার নিরলস কর্মপ্রচেষ্টার জন্যই আজ সিটি কর্পোরেশনের সেবাগুলো একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম পেলো। আমরা আমাদের “এক – সেবা” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি প্রায় ১৬৪টি সেবা ডিজিটাল ভাবে দিচ্ছি। কেউ যদি নিরক্ষরও হয় তিনিও সহজেই সেবা পাবেন ৩৩৩ এর মাধ্যমে। তিনি ফোন দিয়ে সেবা চাইলে সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিনিধি সেবাগ্রহীতার কাছে গিয়ে তাকে সেবা দেবেন, ফরম পূরণ করে দেবেন। ডিএনসিসির মাধ্যমে এই শহরের দেড় কোটি মানুষকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্বের আধুনিকতম সেবা দিতে চায় সরকার।

অন্যান্য হেল্পলাইনগুলোর সাথে ৩৩৩ কে যুক্ত করা হবে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে অন্যান্য সংস্থাগুলোর সেবাও এক জায়গা থেকেই নাগরিকদের দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ প্রতিমন্ত্রীর।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এই ৩৩৩ সেবা চালু করলাম কিন্তু এর মাধ্যমে যথাযথ সেবা প্রদান নিশ্চিত করাই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন সময় এসেছে আমাদেরকে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। মেয়র থেকে শুরু করে সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে, জনগণের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন মানুষ জানে না কোথায়, কার কাছে, কীভাবে, কত টাকায়, কী সেবা পাওয়া যাবে। তাই সিটি কর্পোরেশনের সকল সেবা ও তথ্য যাতে জনগণ একই জায়গা থেকে পেতে পারে সেজন্যই এই আধুনিক তথ্য সেবা চালু করছে ডিএনসিসি।
আমরা ইতিমধ্যে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকে জম্মসনদ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি, শীঘ্রই জনগণ এর সুফল পাবেন। আমাদের পরিকল্পনা আছে ৫৪ টি ওয়ার্ড থেকেই জন্ম সনদ দেওয়ার। এরপর পরিকল্পনা আছে জন্ম সনদ, ট্রেড লাইসেন্সের মত দলিল ঘরে বসেই ডেলিভারি নিতে পারবেন নাগরিকেরা। এখন খাবার যেমন ঘরে বসেই অর্ডার করে পাওয়া যায়, তেমনি সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের সেবা ঘরে বসেই নাগরিকেরা পাবেন এমন উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

মেয়র বলেন, আগে কোনো সময় নাগরিকেরা আমাদের ফোন করতে পারতো না। এখন থেকে ফোন করতে পারবে, প্রশ্ন করতে পারবে; সেবা ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার চ্যালেঞ্জ এটি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনই প্রথম ৩৩৩ এর মাধ্যমে সেবা প্রদান শুরু করলো

আপনার মতামত লিখুন :