ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ফারুকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:51 PM, 25 April 2022

ঢাকা ব্যাংকের বগুড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ এর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে রোমা অটো রাইস মিল লিঃ এর ব্যবস্থাপক পরিচালক মীর শাহে আলম ঢাকা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছে। এর প্রেক্ষিতে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রোমা অটো রাইস মিল লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে ঋণ নেয়। অত্র ব্যাংকের বগুড়া শাখায় গৃহীত ঋলের মূলসুদ সহ প্রায় ৩ কোটি টাকা ডিপোজিটও জমা করেছেন। রোমা অটোরাইস মিল লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহে আলম রজনৈতিক মামলায় কারাগারে অবস্থান করাকালীন অত্র প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন এর মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখায় অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ এর কাছে ঋণ পরিশোধের জন্য সেটেলমেন্ট একাউন্টে ৪ কিস্তিতে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা জমা করে।

পরবর্তিতে অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিযুক্ত ফারুক এর কাছ থেকে জমাকৃত টাকার রশিদ চাইলে বিভিন্ন অযুহাতে ফারুক টাল বাহানা করতে থাকে এবং বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ রাজশাহী বদলী হয়। মীর শাহে আলম পুনরায় অভিযুক্ত ফারুক এর নিকট জমাকৃত টাকার রশিদ চাইলে বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা করে সুদ কমিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে।

বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় রোমা অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরুপাই হয়ে ঢাকা ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঢাকা হেড অফিসের এভিপি ইমতিয়াজ ইসলাম ও হেড অফিস ঢাকা ব্যাংক এর এসপিও তৌহিদুল বারী বিষয়টি তদন্ত করছেন। এব্যাপারে ঢাকা ব্যাংক লিঃ বগুড়া শাখার বতর্মান ব্যবস্থাপক ওয়াজেদ আলী এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে রোমা অটো রাইস মিল লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম বলেন, আমি রাজনৈতিক মামলায় জেলে থাকার সুযোগে ঢাকা ব্যাংক এর বগুড়া জেলা শাখা সাবেক ব্যবস্থাপক আমার ঋণ ও সুদের টাকা সেটেলমেন্ট একাউন্টে জমা না করে আত্মসাৎ করেছে । এমনকি সে একাধীক সুন্দরি নারী গ্রাহক ও নারী সহকর্মীর সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আছে । বহু গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দিয়ে কমিশন নেয়া ও ব্যাংকের নিলামকৃত সম্পতি বেনামে ক্রয় করে ব্যবসা করার অভিযোগ আছে। এসব করে বগুড়া শহরে বাড়ী গাড়ী ও জলেশ্বরীতলা এলাকায় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠাান গড়ে তুলেছে ।

এব্যাপারে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এরিয়ে যান।

আপনার মতামত লিখুন :