পুলিশ সদস্যের অমানবিকতা: ৪ বছরের শিশুর আকুতি বাবার কোলে উঠার ‘বাবা আমার সঙ্গে কথাও বলেনা

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:55 PM, 21 September 2019

রায়হানুল ইসলাম: নম্রতা, ভদ্রতা ও ন্যায় নিষ্ঠা, দায়িত্বশীল স্নেহপরায়ন বাহিনীর সদস্যের নাম পুলিশ। সেই পুলিশ বাহিনীর সদস্য কি করে নিজের ঔরসজাত ৪ বছরের শিশু সন্তানকে কোলে তুলে না নেয়, খোঁজ খবর, ভরণ পোষন দেয়না। কি করে এক অবুঝ শিশুকে কাছে পেয়েও কথা বলেনা, কোলে তুলে নেননা এমন অমানবিক পুলিশ সদস্য হতে পারে সেটা তার ৪ বছরের শিশুর আকুতি অশ্রু ভরা চোখ আর মলিন মুখ না দেখলে বোঝা যাবেনা।

এই অবুঝ শিশুটিও জানে তার বাবা তার সঙ্গে কথা বলেনা এটা ঠিক নয়, তাকে কোলে তুলে আদর করেনা এমন বাবা হতে পারেনা। হ্যা এমনই ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ইউনিয়নের গণকপাড়া বুদারভিটা গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে রুমি আক্তারের ৪ বছরের শিশু কন্যা আতিকার সঙ্গে।

শুধুকি তাই ১ম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত দ্বিতীয় বিয়ে করে, কি করে তথ্য গোপন করে প্রতারণা করে মহামান্য আদালতের কাছে। সর্বোপরি প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দিতয়েও না পেয়ে আদালতের দারস্থ হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য একই উপজেলার নিজ বরুরবাড়ী গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের পুত্র ডিএমপি, ঢাকার ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের কনস্টেবল ১৪৬৮৮ মো: রুবেল মিয়া ,বিপি-৯৩১২১৫২৪৫১ গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সিআর ১৬৬/১৮ এফিডেভিট করে উল্লেখ করেন যে, তিনি দ্বিতীয় কোন বিয়ে করেন নাই। অথচ ৩০০ টাকা মূল্যের ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে গত ২৬ জুন’১৯ আপোষ নামায় দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার আদাচাকী গ্রামের বাকী মন্ডলের নাবালক মেয়ে সুমিকে বিয়ের কথা স্বীকার করেছে।

এবং ১ম স্ত্রী সন্তানের ভরণ-পোষণসহ মাসে ৫ হাজার টাকা ১ম পক্ষকে এবং ২য়পক্ষসহ উভয়পক্ষকে নিয়ে সুখে সংসার করবে মর্মে অঙ্গীকার করেও তা দেয়না। অথচ এই দ্বিতীয় বিয়ের কথা সে আদালতে গোপন রেখে জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, সারিয়াকান্দি আমলী আদালতে রুমি আক্তারের করা মামলায় ১৬৬/২০১৮ সে জামিন পেয়ে যায়। আর এ প্রতারণার ফলে চির দিনের জন্য এক অসহায় অবুঝ শিশু তার বাবাকে হারাতে বসেছেন। হারিয়ে গেছে বাবার ¯েœহ ভালবাসা আর বাবার কোলে উঠার প্রতিদিনের স্বপ্ন। অবুঝ শিশু আতিকা জানেনা কবে থামবে তার এ কান্না নাকি থামবেনা!

ভিকটিম রুমি আক্তার জানান,১৯ এপ্রিল ’১৪ সালে তাদের বিয়ে হয়। এসময় তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের সময় তার বাবা ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকসহ ২ লক্ষ টাকার উপঢৌকন দেন আমার সুখের জন্য। অথচ সে গোপনে নাবালক অন্য মেয়েকে বিয়ে করে আমার বাবার সংসারে আমাকে ও আমার কন্যাকে বোঝা বানিয়ে কোন খোঁজ খবর রাখেননা। তার ওমর আলী জানান, প্রতারণা করে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন রুবেল। আমরা তার দ্বিতীয় বিয়ের প্রমাণাদি পেয়েছি আদালতেও দিবো। পুলিশ সদস্য বলে কি আমরা ন্যায় বিচার পাবোনা। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে আমার মেয়ে ও নাতি ন্যায় বিচার পায়।

শিশু আতিকা (৪) তার বাবা পুলিশ বলে আর কোন কথা বলতে পারেনা। মেয়েটির অশ্রæসিক্ত নয়ন চেয়ে আছে ভবিৎষতের দিকে। রুবেল মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করে মেয়ে ও স্ত্রীর কোন খোঁজ-খবর রাখেননা। দেখা হলেও কথা বলেননা, কোলে তুলে নেননা মেয়েকে। এমন অমানবিক পুলিশ সদস্য বাবাকে কাছে পেতে চায় এই শিশু মেয়ে। তাই ঘর থেকে বাবার ছবি বের করে বুকে ধরে রাখে আর কাঁদতে থাকে। বলতে চায় অনেক কিছু বলতে পারেনা।

আপনার মতামত লিখুন :