বগুড়ার নুনগোলা সায়েদ আলীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি নুরনবী রহমান: সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় বগুড়ার নুনগোলা মাঠের সামনে যেখানে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই জায়গায় হাজার হাজার নারি পুরুষ সমলিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় । গত শুক্রবার দুপুর১২ টায় আশোকোলা পূর্বপাড়া তোজামের ছেলে সায়েদ আলী নিশংস ভাবে হত্যা করা হয়,তার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে নিশিন্দারা পরিষদ চত্বরে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছে এক ঘন্টা। পরে পুলিশ এসে যানজট নিরসন করেন।
উল্লেখ্য , গত শুক্রবার দুপুরে বগুড়ার শহরতলী দশঠিকা এলাকার ল্যাংড়া বাজারে চুলকাটার সিরিয়াল নিয়ে দু’যুবকের কথা কাটাকাটির জের নিয়ে এলাকার বহুল বিতর্কিত নিশিন্দারা যুবলীগের সভাপতি রুবেল হোসেনও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা দিনের বেলায় প্রকাশ্য জনসম্মুখে সায়েদ আহম্মেদ ওরফে শায়েদ (৩৬)নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন করে ।
নিহত ব্যবসায়ী সায়েদ সদরের নূনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা গ্রামের তোজাম উদ্দিনের ছেলে ।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় শেষ খবর পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত দুই খুনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জাবান বন্দি প্রদানের কথা থাকলেও শেষ খবর পর্যন্ত এই হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকতা এসআই গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
এদিকে পুত্র হত্যা ঘটনায় নিহতের পিতা আশোকোলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র তোজাম্মেল পাইকাড় বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় আটক যুবলীগ নেতা রুবেল সহ তার ১৫ সহযোগিকে এজাহার নামীয় এবং আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাত হিসাবে আসামী করে শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন । পুলিশ মামলাটি ৩০২/৩ পেনাল কোড হিসাবে নথি ভুক্ত করে।
গতকাল শনিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয় ।
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল হোসেন রুবেল সদরের বারপুর উত্তর পাড়ার জিব্রাইলের পুত্র এবং নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি । অন্যজন হল একই দলের বারপুর এলাকার শহিদুলের পুত্র সীমান্ত (২৫)।
এছাড়াও হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলো ,একই এলাকার জনি মিয়া,রানা মিয়া ,মোহা আপেল,মোঃ মাহফুজার ,রাশেদ মিয়া, প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা রুবেলের ভাই আপেল (২)রাজন মিয়া ,রাব্বী মিয়া ,রকি ,সজিব, ,ইমরান হোসেন,শাস্ত, সাদ্দাম সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২জন ।