বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্তের জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট আহত ৪

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:39 PM, 25 June 2019

আব্দুর রাজ্জাক স্টাফ রিপোটারঃ বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বকুলপুর গ্রামে জমি-জমা বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে । প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি সূত্রে জানাযায়,ওই গ্রামের মৃত হায়দার এর স্ত্রী আকলিমা বেওয়া ও তার ছেলে হারুন এর কাছে থেকে প্রায় ২৭ বছর পূর্বে সৈয়দ পুর ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর মৌজার ১৩ শতাংশ জমি ১৯৯২ সালে কবলা করে । তৎকালিন জমির মূল্য অনুযায়ী ১২হাজার টাকায় এর মধ্যে ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে ওই জমির ক্রেতা একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর পুত্রদ্বয়। কারণবসত ওই সময় ক্রয়কৃত জমিটি সম্পাদন শেষ হয়না। এরপর থেকে ওই জমিতে বসতবাড়ী নির্মান করে বসবাস করে আসছে মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নুরনব্বী,ও আনোয়ার হোসেন নদু। এদিকে আকলিমা ও তার ছেলেগন বিক্রকৃত ওই জমির বকেয়া টাকার চেয়ে বেশি টাকা দাবি করে আসে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে আকলিমাগং উক্ত জমিটি সম্পাদন করে দিবেনা মর্মে বলেদেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ নিয়ে একাধিক বার শালিসি বৈঠক বসে। এতে আনোয়ার হোসেন নুদু তৎকালিন জমির বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে চাইলে,প্রতিপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে। ফলে মিমাংসা না হয়ে বিচার কার্য শেষ হয় বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান তৌফিক হাসান জানান। এদিকে গত রবিবার সকালে বসবাসরত বাড়িঘরের চতুর পার্শে ইট দিয়ে দেয়াল নির্মান ও পাকা ঘর নির্মান করতে মিস্ত্রি লাগাইলে প্রতক্ষদর্ষি সুত্রে জানাযায়, প্রতিপক্ষ আকলিমার ছেলে হারুন,রন্জু,বিলু,বিজুসহঅজ্ঞত আরো ৩০-৩৫জন লোক নিয়ে হাতে লাঠি,লোহার রড়,রামদা,কুড়াল নিয়ে হামলা চালিয়ে আনোয়ার হোসেন নুদুর নির্মানকৃত ঘর,দেয়াল ও পূর্বে থেকে বসবাসরত টিনসেটের ঘর বাড়ি,আসবাববপত্র,ভাংচুর ও লুটপাট সহ ২০-২৫ টি বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে ফেলে। এতে বাধা দিতে গিয়ে হামলাকারীদের হাতে গরুতর আহত হয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে আনোয়ার হোসেন নুদু,নুররবীর ছেলে তুহিন ও নুদুর মেয়ে নুন্নি খাতুন। এব্যাপারে শিবগনঞ্জ মোকামতলা ফাঁড়ি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রির্পোট লেখা অবদি শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

আপনার মতামত লিখুন :