বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এলজিডি’র অর্ধেক সড়ক গিলে ফেলেছে বাঙ্গালী নদী ও পুকুর, হুমকির মুখে ৮কোটি টাকার ব্রীজ

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:52 PM, 14 January 2020

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের সুঃব্যবস্থা না থাকায় সংশ্লিষ্টটির প্রায় অর্ধেক সড়ক বাঙ্গালী নদী ও পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ৮কোটি টাকার ব্রীজ। ঝুঁকি নিয়ে করছে যানচলাচল । এমপি আব্দুল মান্নানের উন্নয়নে। সড়কটি মেরামতে সংশ্লিষ্টটিকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা বাঙ্গালী ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে ও পূর্বপাড়া ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে সড়ক বাঙ্গালী নদীতে এবং চারমাথার পশ্চিম পার্শ্বে দুলু সরকারের বাড়ি সংলগ্ন ছোট ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে ভারি বর্ষণে প্রায় অর্ধেক সড়ক পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সড়কটি মেরামতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এগিয়ে না আসায় ঝুঁকিতে করছে যানচলাচল।

প্রতিনিয়ত চলন্ত গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে মোটর সাইকেল আরোহী সহ গুরতর আহত হয়েছে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী। এলাকাবাসি-পথচারি ও গাড়ি চালকদের দাবি বাঙ্গালী ব্রীজের আশপাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হলে সড়কটি বাঙ্গালী নদী ও পুকুরে বিলীন হলে বগুড়া জেলা শহরের সাথে দক্ষিণ সারিয়াকান্দি তথা পূর্বা লের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

জোড়গাছা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন কে বলেন, সড়কটি পূর্ব বগুড়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও আজ সেটি ভেঙ্গে বাঙ্গালী নদী আর পুকুরের বিলীন প্রায়। জোড়গাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। কিন্তু সড়কটির বেশ কয়েকটি ভাঙ্গনে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যান উল্টে গিয়েছিল। সিএনজি চালক রিপন বলেন, ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বের ভাঙ্গনের কারণে আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গাড়ির নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করছে। এনামুল, শাহাদৎ সহ নাম না জানা আরও অনেকে বলেন, জোড়গাছা বাঙ্গালী ব্রীজের পূর্ব পাশের্ব ও দুলু সরকারের বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজটির পূর্ব পার্শ্বের ভাঙ্গন দীর্ঘদিনের। কিন্তু আমরা মেরামত ও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ দেখছি না। ফলে এখানে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জন বলেন, ব্রীজের আশপাশ থেকে যতদিন পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধ করা খুবই জরুরী। তারা দাবি করেন, যেখানে স্বয়ং সাংসদ বালু উত্তোলন বন্ধে হুশিয়ারি দেন সেখানে পূণরায় বালু উত্তোলনের প্রশ্নই উঠেনা। এলাকাবাসি হিসাবে বলব সংশ্লিষ্টটির দায়িত্ব হীনতাই বলি আর গাফলতিই বলি না কেনো তাদের এমন ধৃষ্টতায় এমপি আব্দুল মান্নানের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করছে।

ভেলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল উদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সড়কটি সংস্কার ও সংরক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের। তারপরেও আমার এলাকাবাসির সুবিধার জন্য বেশ কয়েকবার মেরামত করেছি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে মোবাইলে ফোনে কথা হলে তিনি কে জানান, সম্ভবত সড়কটি মেরামতের জন্য আমরা ইতোমধ্যে তালিকা পাঠিয়েছি। তবুও না দেখে বলতে পারব না। তবে জোড়গাছা বাজারের পশ্চিম পার্শ্বের ছোট কালভার্টটির কাছে ভাঙ্গন মেরামতের কাজ এ মাসেই শুরু করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :