বগুড়ার সারিয়াকান্দি কামালপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:05 PM, 26 January 2020

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ জিরো পয়েন্ট নামে পরিচিত এলাকার একটু দক্ষিণে যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

জানা,যায়, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখ অনুমান সকাল ১১টায় বালু উত্তোলনকারী কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মন্ডল, চন্দনবাইশা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বাবুল শেখ সহ তার সহযোগীরা যমুনা নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ হুমকীর মুখে পড়েছে।

এলাকার সার্বিক মঙ্গল কামনা করে কামালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব, বগুড়া শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ, সহ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ আশংকায় কতিপয় লোকজন উক্ত অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করলে বালু উত্তোলনকারীরা লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। হামলায় আক্রান্তরা বলেন, হামলাকালীরা পূর্ব প্রস্তুতি সহ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়। আমাদের কোন প্রস্তুতি না থাকায় তাদের মারমুখে আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে জিরো পয়েন্টে চায়ের দোকানে আমাদের খুঁজে বেড়ায়। চায়ের দোকানী আসমা বেগম স্বামী দুলাল প্রাং বলেন, আমার দোকানে অপর পক্ষের একজন বসে চা পান করছিলেন। হামলাকালীরা তাকে পেয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এতে আমার দোকানের মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে সাকিব বলেন, যেখান থেকে বালু উত্তোলন ও মজুদ করা হয়েছে। ওই জমিগুলো আমাদের। জমিজমার ক্ষতি হচ্ছে মর্মে বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তারা আমার উপর হামলা চালায়। পরে আমার বাড়ীতে আক্রমণ করে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। প্রতিবেশীদের বাঁধার মুখে তারা চলে যায়।

এ বিষয়ে বাবুল শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একমাস যাবৎ আমরা রৌহাদহ পয়েন্টে বালু উত্তোলন করে মজুদ করি। ছাত্রলীগ নেতা সাকিব ও জাহিদ আমাদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাদের উপরে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে আমাদের লোকজনকে পয়েন্ট থেকে সরিয়ে দেয়। পরে সে জোর পূর্বক ৫শ টাকা ট্রাক বালু বিক্রি করে।

শিহাব উদ্দিন মন্ডল বলেন, গত ২৪ তারিখে সমস্যা সমাধানের জন্য জাহিদ ও শাকিব কে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা সমাধানে না এসে উল্টো আমার উপরই কড়িতলা বাজারে হামলা চালায়। এলাকার লোকজন বাধা নিষেধ করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ দুরুল হুদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফোর্স প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :