বগুড়া সোনাতলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাদাবি ও ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:43 PM, 13 October 2019

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি , বগুড়া সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রুহুল আমিন বিরুদ্ধে চাঁদাদাবি ও ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত কাল সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা: হাবিবুর হাবিবুর রহমানের ছেলে শাকিল রেজা বাবলা ।

তিনি অভিযোগে উলে­খ করেন, সোনাতলা থানার বড় বালুয়া মৌজার বাজার এলাকায় পৈত্রিক স‚ত্রে পাওয়া ৪ শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর (দোকান ঘর) দীর্ঘ দিন থেকে ব্যবসা বানিজ্য ও দোকান পজিশন ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসিতেছে। এর মধ্যেই বালুয়া বাজারের হাট শেড চতুর্থ তলা ভবণ এর ভিত্তি প্রস্তর ¯’াপন করার সু বাদে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করেন। যদি টাকা না দেও তাহলে ওই জায়গা হাটের নামে দখল করবো বলে জানায়। তাহার কথায় বাবলা রাজি না হওয়ায় গত ৩ই অক্টোবর চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তাহার লোকজন সহ সন্ত্রাসী বাহিনি দ্বারা ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর চালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সোনাতলা থানা ওসি’র হস্তক্ষেপে রক্ষা পায়। এর পর চেয়ারম্যান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার রাতে ¯’ানী ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজা, সাজু, কারিগড় পাড়া গ্রামের মৃত মুদি প্রামানিকের ছেলে হেলাল, জোবেদআলীর ছেলে মুক্তার, হবিবর রহমানের ছেলে বুদু মিয়া, দক্ষিন আটকরিয়া গ্রামের পুটু মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন , ইনসার আলীর ছেলে ছানোয়ার সহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন তাহার দোকনঘর গুলির মধ্যে প‚র্ব সাইটে ২টি দোকান ঘর ও দক্ষিন সাইটে ৩টি দোকান ঘরের শাটার দেওয়াল ভাংচুর করিয়া ভাড়াটিয়াদের মালামাল, আসবাব পত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে তিনি উলে­খ করেছেন।

উলে­খ্য, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারায় বালুয়াহাট বাজারের হাটশেডের চতুর্থতলা ভবণ নির্মানের ভিত্তিপ্রস্তর ¯’াপণ করেন সোনাতলা-সারিয়াকান্দির সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান। এর পর থেকেই ওই হাটের ৯৪ শতাংশ জমির মাপযোগ নিয়ে ও বাবলার পৈত্রিক স‚ত্রে পাওয়া ৪ শতাংশ জমির বিরোধ চলে। এই সুত্রপাতে গত ৩ই অক্টোবর চেয়ারম্যান সহ এলাকার লোকজন বাবলার দোকানঘর ভাংচুর চালানোর চেষ্টা করলে তা ইউএনও এবং ওসির হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় এবং চেয়ারম্যান সহ ¯’ানীয় ইউপি সদস্য রেজার সংঙ্গে মনমালিন্য ঘটে ইউএনও এবং ওসির।

এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি’র বিরুদ্ধে খারাপ আচারনের অভিযোগ এনে স¤প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেন বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ সদস্যরা। এর দুই দিন পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলম ও ভ‚মি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক সহ ওসি ঘটনা¯’লে গিয়ে মাপযোগ করে ওই দোকান ঘর গুলির বারান্দার কিছু অংশ রাস্তার সিমানার মধ্যে ঢুকে পড়ায় তা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এতে সম্মতি পোষণ করেন দোকান মালিক বাবলা। এসময় চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সহ ¯’ানীয় লোকজন উপ¯ি’ত ছিলেন।

এ ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার দায়িত্বে থাকা জমির সিমানা মাপযোগ করে দোকানঘর গুলির সামনের কিছু অংশ রাস্তার সিমানার মধ্যে ঘুকে পরে। সেটুকু দোকান মালিককে অপসরণ নির্দেশ দেই। এর মাঝে কে বা কাহারা দোকানপাট ভাংচুর করেছে তা আমার জানা নেই ।

এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :