বহিস্কৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সভাপতির সংবাদ সম্মেলন গাবতলী শহীদ জিয়া মডেল কলেজে অধ্যক্ষের পদ নিয়ে তুলকালাম!

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:20 PM, 23 August 2016

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ শহীদ জিয়া মডেল কলেজে বিশৃংখলা ও কাগজপত্র চুরির অভিযোগ এনে বগুড়ার গাবতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধায় লিখিতভাবে সংবাদ সম্মেলনটি পাঠ করেন ওই কলেজের গভর্ণি বডির সভাপতি ও পৌর কৃষকলীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মোছাঃ মমি আকতার। সম্মেলনে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, ২০১৫সালের ১১মে বগুড়া-৭আসনের এমপি এ্যাড. আলতাফ আলীর সুপারিশের (ডিও লেটার) ভিত্তিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড গত ২০/০৫/১৫তারিখে ৩/কল/বগ/৯৭৬/৮৫ইং স্মারকের ভিত্তিতে উলে­খিত মমি আকতারকে শহীদ জিয়া কলেজের গভর্ণি বডির সভাপতি মনোনীত করা হয়। কিন্তু জনৈক এএইচ আজম খান এ্যাড. আলতাফ আলী এমপির স্বাক্ষর জাল করে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে শহীদ জিয়া মডেল কলেজের সভাপতি হন বলে সংবাদ সম্মেলনে উলে­খ করা হয়। বিষয়টি এ্যাড. আলতাফ আলী এমপি জানতে পেরে মমি আকতারকেই পুনরায় ওই কলেজের সভাপতি করার জন্য জোর সুপারিশপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে আজম খান মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করলে তিনিই সভাপতি বহাল থাকেন। পরে মমি আকতার ওই রীট পিটিশনের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করলে চলতি বছরের ১৩এপ্রিলে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড আজম খানকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়। কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং এ্যাড. আলতাফ আলী এমপির স্বাক্ষর জাল প্রমানিত হওয়ায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ মমি আকতারকে গত ২৭এপ্রিলে সভাপতি নিযুক্ত করে বলে সম্মেলনে লিখিতভাবে জানানো হয়। তখন আজম খান আবারো দ্বিতীয়বারের মতো মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে ২৭এপ্রিলের চিঠির বিরুদ্ধে রীট পিটিশন করলে ১৬মে তিনি পুনরায় সভাপতি বহাল থাকেন। এরপর অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন শিক্ষক নিয়োগের স্থগিতাদেশ থাকা সত্তে¡ও ২৫জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা পকেটস্থ বরেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উলে­খ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মমি আকতার এই রীট পিটিশন চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ১৭মে মামলা করলে ১৯জুলাইয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় পান। এরপর বিভিন্ন অভিযোগে গত ১২জুনে গভর্ণিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই কলেজের প্রকৌশল অংকন বিষয়ের শিক্ষক মোঃ নুরুন্নবীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এরপর থেকেই সভাপতি মমি আকতার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুন্নবীর যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংক শাখা হতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভের বশীভূত হয়ে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন গত ২১আগষ্টে দলবল নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে তালা ভেঙে ফেলে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। এ ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুন্নবী ঘটনার রাতেই বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আমিই শহীদ জিয়া মডেল কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ এবং এ এইচ আজম খান গভর্ণিং বডির সভাপতি। বেতন উত্তোলন প্রসঙ্গে মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ভুয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুন্নবী জোর-জুলুম করে সোনালী ব্যাংক থেকে বেতন উত্তোলন করছে-যা আদৌ সঠিক না।

আপনার মতামত লিখুন :