শিবগঞ্জে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার গ্রাহকের ২৩ লক্ষ টাকা নিয়ে অন্যত্র বদলী

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ব্যক্তিগত ভাবে চেক দিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ম্যানেজার কে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। প্রতিবেদক নুরননী রহমান জানান, উপজেলা সদরের জনতাব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজার মোঃ মোশারফ হোসেন ব্যাংকে যোগদান করার পর থেকে ব্যাংকের গ্রাহক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরসাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সুযোগে ম্যানেজার ১০/১৫ জন গ্রাহকদের মন জয় করে, তার নিজ নামের একাউন্টের চেক দিয়ে প্রায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে অত্র ব্যাংকের গ্রাহক ডা: মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাকে চেক দিয়ে ২লক্ষ টাকা কর্জ বাবদ নিয়ে উধাও হয়েছে। তিনি বলেন আমি বগুড়া ডিজিএম বরাবরে মৌখিক অভিযোগ ও চেকের ফটোকপি জমা দিয়েছি। ব্যাংক গ্রাহক আলহাজ্ব আমিনুল হক দুদু বলেন, আমাকে চেক দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা বিপদের কথা বলে নিয়েছে । কিন্তু তার কোন হদিস পাচ্ছিনা। ব্যাংক গ্রাহক শ্রী রাজ কুমার বলেন পনের দিন পর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে চেক দিয়ে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। তিনি বলেন, সে যে প্রতারক আগে বুঝিনি।
ব্যাংক গ্রাহক আনোয়ারা বেগম এর দেড় লক্ষ টাকা, শ্রী আনন্দ বাবুর ৪ লক্ষ টাকা, শ্রী চৈতন্য সরকার এর ১ লক্ষ টাকা, রাব্বি প্রাং এর ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ প্রায় ১৫ জন গ্রাহকের নিকট হতে ম্যানেজারের ব্যাক্তিগত একাউন্টের চেক দিয়ে টাকা গ্রহণ করে। এব্যাপারে জনতা ব্যাংক বগুড়া ডি.জি.এম
মোঃ হারুনার রশিদ মুঠো ফোনে বলেন, কিছু গ্রাহকরা ম্যানেজারের ব্যক্তিগত একাউন্টের চেক গ্রহন করে টাকা দিয়েছে। এমনকি অত্র ব্যাংকের ম্যানেজার নিয়মত অফিস করে না। বিষয় গুলো জানার পর তাকে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রাহক যদি ব্যক্তিগত ভাবে ম্যানেজার কে টাকা দেয়, তার দায়িত্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিবে না। এদিকে ব্যাংকের নতুন ম্যানেজার নাইম খসরু বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। প্রতিদিন গ্রাহকরা টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য আগের ম্যানেজার কে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।