শিবগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ এসিল্যান্ড ও ভি.এস,সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:49 PM, 26 October 2019

রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ  বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় সাধারণ মানুষ দ্রুত ও সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হলেও দেখার কেউ নেই। সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলার একজন গুরুত্বপূর্ন অফিসার, তিনি নামজারী, ভূমি কর আদায়, মিসকেচ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করলেও এ পদটি প্রায় ৬ মাস যাবত শুন্য রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সঠিক ও দ্রুত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
যদিও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির। কিন্তু সচেতন মহল বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অত্যান্ত একজন গুরুত্বপূর্ন অফিসার। তিনি উপজেলার সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তর, স্কুল, কলেজ দেখার পাশাপাশি নানা সভা সেমিনার ও উন্নয়ন মূলক কাজ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর পরও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষেরা বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা  না থাকায় অফিসের কর্মচারীদের কাজে দৃষ্টি রাখতে না পারায় জন সাধারণের নানা সমস্যা সৃষ্টি হলেও সমস্যা থেকেই যায়। তাই জরুরী ভিত্তিতে এ পদটি পুরুন করা উচিত। এ ছাড়া  এ অফিসে কানুনগোর মত কর্মকর্তার ও পদ শূন্য রয়েছে, পিরব, ময়দানহাট্টা ও দেউলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার নেই।
উপজেলার প্রাণি সম্পদ অফিসের ভি.এস (ভেটেনারী সার্জন) প্রাণি চিকিৎসার একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার। এ উপজেলায় প্রায় ৪লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু উপজেলার প্রাণি চিকিৎসার একমাত্র রেজিষ্টার-ডাক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ না থাকায় গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণি চিকিৎসার চরম বিঘœ ঘটছে। কোন কোন উপজেলায় ভেটেনারী সার্জন এর পাশাপাশি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও ডা: হওয়ায় সে উপজেলায় প্রাণি চিকিৎসার মান আরো বেড়ে যায়। কিন্তু শিবগঞ্জ উপজেলায় একত্রে উপজেলা প্রাণি  সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নয়, তার উপর ভেটেনারী সার্জন না থাকায় এখানে গরু-ছাগল সহ প্রাণির মারাত্বক রোগ হলে সঠিক চিকিৎসার চরম বিঘœ ঘটছে। এ অফিসে মোট ১১টি পদের মধ্যে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সহ ৫জন কর্মচারী দায়িত্ব পালন করলেও বাকী ৬ জনের পদ শূন্য রয়েছে। ১১টি পদের মধ্যে ৫ জন থাকলেও সেবার মান কতটা মানসম্মত হবে তা প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ বলছেন, শিবগঞ্জ একটি বড় উপজেলা এখানে ১১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ভি.এস এর পাশাপাশি উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১,  ও অফিস সহায়ক সহ ৬ টি পদ দীর্ঘ দিন যাবৎ না থাকায় সাধারণ জনগণ তাদের প্রাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব শূন্য পদের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সহ বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে। এসব দপ্তরে জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদ পুরুন করে সাধারণ জনগনের সঠিক সেবা প্রদান করা প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির এর সহিত মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি ডিসি স্যারকে বলেছি এখানে একজন এসিল্যান্ড সাহেবকে দেওয়ার জন্য, আর ভি.এস এরও বিশেষ প্রয়োজন। তাই জরুরী ভিত্তিতে ভি.এস এর পদটি পুরুনের জন্য চেষ্টা চলছে।
এব্যাপারে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা  মোছাঃ জাফরিন রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার অফিসে ভি.এস না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, এজন্য আমি রাজশাহীতে গিয়ে; ডিডি স্যারকে বলেছি, এখানে ডিসেম্বরের মধ্যে এ পদটি পূরুন করতে পারেন।

আপনার মতামত লিখুন :