শিবগঞ্জে ১৪ জন্মান্ধ প্রতিবন্ধী সদস্যদের তারেক রহমান প্রদত্ত্ব এক বছরের খাদ্য ও বস্ত্র দিলেন বগুড়ার এমপি সিরাজ 

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:22 PM, 02 September 2019

রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ(বগুড়া)ঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে ময়দানহাটা ইউনিয়নে সোবহানপুর পোড়াবাড়ি গ্রামের ১৪ জন্মান্ধ প্রতিবন্ধী সদস্যদের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত্ব এক বছরের খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা দিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজ। সোমবার দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি প্রতিবন্ধী ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়ে এ সহায়তা দেন।
এর আগে তাদের অসহায় জীবন জীবিকা নিয়ে গত ১০ আগস্ট দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নেতৃবৃন্দের নজরে আসে।
 এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোশারফ হোসেন এমপি, রেজাউল করিম বাদশা,সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির সদস্য ও শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম, স্বেচ্ছাসেবকদলের এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েল, হামিদুল হক হিরু, বিএনপি নেতা এবিএম কামাল সেলিম, ময়দানহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মানিক প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানায়, অন্ধ বাবা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় বড় হয়েছে শহিদুল, বুলু, টুলু, জহিলা, শহিদা, মোমেনা নামে তারা ছয় ভাই বোন ও তাদের প্রতিবন্ধী সন্তান রুমি, মীম, জীম বাবু, মানিক, বুলবুলি ও রাজিয়াসহ ১৪ জন জন্মান্ধ।
একই অন্নে মানুষের করুণায় অন্ধ ওই পরিবারে চলে জীবন। পরিবারের মেজো সন্তান বুলু মিয়ার দুই মেয়ের মধ্য বুলবুলি নামের এক মেয়ে জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। বিয়ের পর বড় বোন জহিলার, মেঝো বোন শহিদার ঘরে শরীফ ও শ্যামলী ও ছোট বোন মমেনার ঘরে জন্ম নেয় দুই ফুট ফুটে সন্তান।
কিন্তু জন্মান্ধ হওয়ায় এদের কেউই দুনিয়ার আলো দেখতে পায়নি। গরীব ও অন্ধ সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে তাদের তিন বোনের কপালে বেশি দিন জোটেনি স্বামীর সংসার। জন্মান্ধ ছোট ছোট বাচ্চাদের ফেলে রেখে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় পাষন্ড স্বামী।
অবশেষে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে অন্ধ ভাইদের সাথে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালছে তাদের।
পরিবারের বড় ছেলে জন্মান্ধ শহিদুল ইসলাম জানান,আমাদের কেউ কাজে নেয় না। দেখতে পাই না বলে কোন কিছু করতেও পারি না। তাই মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়াই।
বুলু মিয়া জানান, বাবার রেখে যাওয়া এই ছোট কুড়ে ঘরে অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তাদের পরিবারের এমন নিদারুণ কাহিনী পত্রিকায় খবরে উঠে আসে।
সরকারি ভাবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ওই পরিবারে ১২ জনকে ভাতা সুবিধার দেওয়া হয়েছে।
পরে এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের এমপি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এমপি বেতগাড়ী মীর শাহে আলম কারিগরি ও বি এম কলেজ ফলজবৃক্ষ রোপন করেন। এসময় ওই কলেজের অ্যধক্ষ মোঃ আব্দুল আলিম উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :