সারিয়াকান্দি রামচন্দ্রপুর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস উদযাপন

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:12 PM, 11 January 2020

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া সারিয়াকান্দির রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস ও মুজিব বর্ষ ২০২০ উদযাপন করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে ১০/০১/২০২০ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় রামচন্দ্রপুর বাজার তিন মাথা মোড়ে সংগঠনের সহ সভাপতি আশরাফ আলী সরকার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সাহাদারা মান্নান। তিনি বলেন যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তিনিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারই নেতৃত্বে এম,পি আব্দুল মান্নান সারিয়াকান্দিকে সোনার সারিয়াকান্দি হিসাবে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

উক্ত সভায় রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম নিপু তার বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর সৃর্তিচারণ করতে গিয়ে বলেন গোপাল গঞ্জে টুংগী পাড়ায় এক সভ্রান্তÍ পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান, ছোট বেলায় বাবা মা তাকে আদর করে খোকা বলে ডাকতেন। শেখ মুজিব ছাত্র জীবনেই বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্থানীদের চক্রান্ত। কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে তার ভাষাকে হনন করতে হবে। তাই ১৯৫২ সালে ঢাকার রেসর্ক্রোস ময়দানে পাকিস্থানের কায়দি আজম জিন্ন্হা বিশাল জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন উর্দু এ্যান্ড উর্দু শ্যাল বি দি স্টেট ল্যাগুয়েশ অফ পাকিস্থান। উর্দুই হবে পাকিস্থানের এক মাত্র রাষ্ট্র ভাষা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্র সংগঠনের দামাল ছেলেরা দাত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে বিরধীতা করে বলেছিল না, আমরা মানি না, বাংলা, বাংলা হবে আমাদের রাষ্ট্র ভাষা। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধকে জেল জুলুম সহ শয্য করতে হয় নানা প্রকার নির্যাতন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান।

১৯৬৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করলেও পাকিস্থানীরা ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই। এর প্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তির জন্য সর্বপ্রকার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দিতে না পারি তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার পরেই ২৫ মার্চ পাকিস্থানীর আর্মি অর্তকৃত ভাবে আক্রামন চালায় ঢাকা পিল খানা, রাজার বাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আক্রামন করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্থানে। সে খানে তাকে জেল খানায় আবদ্ধ রাখা হয়। মুক্তিকামি বাঙ্গালীরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে সম্বল করে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে লিপ্ত হয় আমরণ যুদ্ধে। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জিত হয় বিজয়।

পরিশেষে পাকিস্থানীরা বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়ে লন্ডন গিয়ে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধুর এই আগমনকেই স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস হিসাবে আখ্যাইত করা হয়েছে। উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান সাগর, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, যুবনেতা সাহাদৎ হোসেন, রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেন, এই সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দ, এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী পুরুষ। পরে মনোজ্ঞ সাংকৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আপনার মতামত লিখুন :