সোনাতলায় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প সম্পুর্ণ ঃ চুড়ান্ত হয়নি সুবিধা ভোগীর তালিকা চেয়াম্যানের নামে টাকা নেওয়ার ধুয়াসা !

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:23 PM, 16 May 2019

সংবাদ আজকাল ডেক্সঃ বগুড়া সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাই নগর ইউনিয়নের চর সরলিয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প সর্ম্পন্ন হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি সুবিধা ভোগির তালিকা। গত কাল সরেজমিনে গিয়ে আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কিছু অসহায় গরীব মানুষ বসবাস শুরু করেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ঘর পাবার আশায় স্থানীয় মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেছেন। এই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প নিয়ে ঘর দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা মর্মে একটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এমন তথ্যের খোঁজে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারের মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমাদের কাছে থেকে কেউ টাকা চায়নি। আর আমরা গরীব মানুষ টাকা দিবো কোথায় থেকে? এই বিষয়ে ওই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে গত চার মাস যাবৎ বসবাসরত ওয়াহেদ জানায়, আমি চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘর বরাদ্দ চেয়েছি, উনি বলেছেন- এগুলা সরকারী ভাবে যাচাই-বাচাই হবে তার পরে বাচাইয়ে চূড়ান্ত করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বা কোনো মেম্বার তার কাছে টাকা দাবি করেছে জানতে চাইলে সে জানায়, চেয়ারম্যান বা মেম্বার কোনো টাকা পয়সা চায়নি বরং তিনি আমাদের প্রথম রমজানে ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ। এখানে যারা আছে তারা খুব গরীব মানুষ।
পুরো গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী চর সরলিয়ার সারিয়াকান্দি চালুয়া বাড়ী এলাকার কয়েকজন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ঘরে উঠে ধান কাটামারির কাজ করছে। ঘর বরাদ্দের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কাটামারীর সুবিধার্থে আমরা এখানে উঠেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে পরে জানাই। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়ে এক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ সরকার এর কথা বললে জানায়, আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব সততা-নিষ্ঠার সহিত অসহায় প্রকৃত গরীব মানুষকে ঘর বরাদ্দ দেওয়ায়, কিছু লোক ঘর চেয়েছিলো তারা না পাওয়ায় এই ধরনের মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মাস্টারের সাথে কথা বললে তিনি চেলেঞ্জ ছুরে বলেন, একটি অসাধু মহল ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমাকে জড়িয়ে পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ করার প্রয়াস চালাচ্ছে। আপনারা ইতি মধ্যেই জেনেছেন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও ঘর বরাদ্দ তালিকা চূড়ান্ত হয়নি, যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাচাই-বাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা করবেন। এখানে একটি সার্থনিশী মহল তেকানী চুকাই নগরের মহেশপাড়া তথা এ ইউনিয়নের উন্নয়ন ধারা দেখে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিককে মিথ্যা-বানয়াট তথ্য প্রদান করেছেন। যাহা অদ্যও সত্য নয়। আপনারা সংবাদিক দেশ জাতির গৌরব। তথ্য ভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করবেন এটাই এ জাতির আশা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের চর সরলিয়ায় একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরী হয়েছে যা ১৪০ টি ঘর রয়েছে।
এখনো কাজ সম্পন্ন হলেও ঘর বরাদ্দ প্রত্রিুয়াধীন রয়েছে। প্রত্যেক ঘরে উন্নত চুলা বসানো হবে। তবে চেয়ারম্যান কে বলে কিছু অসহায় দরিদ্র লোকজনকে ঘর পাহারা দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে চেয়ারম্যান কর্তৃক টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখান থেকে ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া প্রশ্নই উঠেনা কারণ উপজেলা কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাচাই করে ডিসি অফিসে পাঠানো হবে চুড়ান্ত হলে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারপরেও কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :