সোনাতলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন অতঃপর ধর্ষনের অভিযোগ

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:49 AM, 30 August 2019

সংবাদ আজকাল ডেস্কঃ বগুড়া সোনাতলায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন সেইসাথে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাস্থলে গেলে ঐ অনশনকৃত প্রেমিকা জানায়, সে গাবতলী থানার সোনারায় ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মৃত পিন্টু মন্ডলের মেয়ে। গত চার(৪)বছর পুর্বে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে সোনাতলা উপজেলার দিগদাড় ইউনিয়নের মূলবাড়ি গ্রামের মোঃ সাইদুলের ছেলে সুমনের সাথে পেমের সম্পর্ক গরে ওঠে। সেই সুত্রে সুমন তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেত। একপর‌্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের বাড়িতেও যাওয়া আসা করতো সুমন। সেইসাথে তাদের মধ্যে শারিরিক সম্পর্ক সংঘটিত হয় বলেও জানায় সে।

সে জানায়, বিয়ের কথা বলে ঐ সুমন প্রতি নিয়তই তাকে ব্যাবহার করতো এবং সেইসাথে প্রেমের সমাপ্তি ঘটিয়ে তাকে বউ’র সিকৃতি দিতে মূলবাড়ি গ্রামের সাইদুলের ছেলে প্রেমিক সুমন তার প্রেমিকা অর্থাৎ ঐ মেয়েকে গত ২৬ আগষ্ট সোমবার তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু সুমনের পরিবারের লোকজন বিষয়টি মেনে নেয়না। অপরদিকে সুমনও তার পরিবারের লোকজনের কথামত কৌশলে তাদের বাড়ি-ঘর তালাবন্দি করে তার প্রেমিকাকে একা রেখে পালিয়ে যায়।

সে আরো জানায়, ঐ রাতে স্থানীয় মাতব্বরের দ্বারা তাকে জানানো হয় যে পরের দিন ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষের অবিভাবককে ডেকে এনে বিষয়টি মিমাংশা করা হবে। এই মর্মে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা সন্ধায় তাদের এলাকার ইউপি মেম্বারকে সাথে করে ঐ এলাকায় এলে প্রেমিক পক্ষ তাদেরকে ৬০,০০০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব করে এবং তাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু ঐ মেয়েটির পরিবারের লোকজন সন্মানের দিকে তাকিয়ে তাদের এমন কু-প্রস্তাবে রাজি হয়না।

আরো জানা যায়, উভয় পক্ষদয়ের মধ্যকার এমন দ্বিমত পোষনে বিষয়টি অমিমাংশিত অবস্থায় থাকে এবং ঐ প্রেমিকার অনশন অব্যাহত থাকে।

এরপর অনশনের ঠিক তিন দিনের মাথায় জনৈক ব্যক্তি সোনাতলা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ২৮ আগষ্ট বুধবার বিকাল ৩ টায় ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রেমিক সুমনের বাড়ি থেকে ঐ অনশনকৃত প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠায়।

খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন রাতে থানায় এলে বৈঠকের মাধ্যমে ঐ অনশনকৃত প্রেমিকাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে পরের দিন সকালে এ সম্পর্কে ঐ মেয়েটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়,প্রেমিক পক্ষের লোকজন আমাদের ঠকিয়েছে, তারা কৌশল করে থানা পুলিশকে হাত করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সন্মানকে বিক্রি করতে বাধ্য করেছে এবং তার মুল্য হিসেবে ষাট হাজার(৬০,০০০)টাকাসহ আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

সেই সাথে তারা আরো বলে, এমন যদি হয় দেশের আইন তাহলে কোথায গেলে আমাদের নারি জাতি সঠিক বিচার পাবে? কিভাবে নারি জাতি কলংকের হাত থেকে মুক্তি পাবে? আমরা অবশ্যই এর তিব্র নিন্দা জানাই।

আপনার মতামত লিখুন :