সোনাতলায় মরিচের বাম্পার ফলন

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:39 PM, 14 March 2019

রিমন আহম্মেদ বিকাশ ( স্টাফ রিপোর্টার ) 
মরিচ বা লংকা এক প্রকারের ফল,যা মসলা হিসেবে রান্নায় ঝাল স্বাদের জন ব্যবহার করা হয়। মরিচের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাপসিকাম। মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই মরিচের চাষাবাদ হয়। বগুড়া মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। চলতি মৌসুমে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় সোনাতলার চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে ফুঠেছে হাসি।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ও তেকানী-চুকাইনগর ইউনিয়নের পুর্বসুজাইতপুর,খাটিয়ামারি,মির্জাপুর,আচারের পাড়া,ভেকিরতার,কাচারী বাজার,পূর্বতেকানী,মহেশপাড়া কৃষকদের ক্ষেত ও আঙিনা জুরে শুধু মরিচ আর মরিচ। আবহাওয়া ভাল পেয়ে কৃষকদের মরিচ শুকানো কাজে ব্যস্ত দেখা যায়। মরিচ শুকানো কালে আচারেরপাড়া গ্রামের ছবদের শেখ জানান,হামার নিজের কোনো আবাদী জমি নাই, হামি গ্রামের কয়েক জনের ৩ বিঘা জমি সনপত্তন নিয়ে মরিচ আবাদ করছি। আল্লাহর রহমতে ফলন ও দাম ভালো পাছি । তিনি আরও জানান,কাচা মরিচ বিক্রি করেই হামি সনপত্তনের টাকা পরিশোধ করছি। শুকনা ২৫ মন মরিচ হামার লাভে আছে। মহেশপাড়া গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ও সফল মরিচ চাষী আবুল হোসেন জানান,তিনিসহ ওই এলাকার অনেকেই উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মোতাবেক দেশী লাল রং,হাইব্রিড সনিক,বিজলী জাতের মরিচ চাষ করে তারা অত্যন্ত লাভবান হয়েছেন। কৃষকরা বিঘা প্রতি কাচা মরিচ পেয়েছেন প্রায় ৩০ মন এবং শুকনো মরিচ প্রায় ১০ মন। তারা কাচা মরিচ মন প্রতি ১ হাজার ২০০ এবং শুকনো ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন। বিঘা প্রতি কৃষকের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা। অন্যান গ্রামের কয়েক জন কৃষককে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, অন্যান্য ফসলের চাইতে মরিচ চাষ করে তার বেশি লাভবান হচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আউলিয়া খাতুন জানান, এ বছর মরিচ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে হাইব্রিট সনিক ৭০ হেক্টর,বিজলি ৫০ হেক্টর,উপশি ৬০ হেক্টর এবং বাকি জমিতে দেশি লাল রং জাতের। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে । যার ফলে কৃষকরা এলাকার চাহিদা মেটানোর পর বাকি মরিচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাল দামে বিক্রি করছে।

আপনার মতামত লিখুন :