সোনাতলায় যমুনা নদী ভাংগন অব্যাহত নদী গর্ভে গুচ্ছোগ্রাম ৪০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:50 PM, 04 September 2019

সংবাদ আজকাল ডেস্কঃ সম্প্রতি বন্যায় বগুড়া সোনাতলা উপজেলার প্রায় সব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে। উজান থেকে নেমে আসা পানি ও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে সৃষ্ট বন্যা ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যা কেউ হার মানিয়েছে। যার ফলপ্রস্রুতিতে পৌর এলাকার (৮ নাম্বার ওয়ার্ড) কামার পাড়ায় ১৭টি বসতবাড়ী সহ তেকানী চুকাইনগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি পরিবার বসতভিটা হারায়।

এই রেশ কাটতে না কাটতেই বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যমুনা নদী ভাঙ্গন। আর এই ভাঙ্গনের ফলেই পাকুল্লা ইউনিয়নের খাটিয়ামারী চর এলাকায় স্থাপিত প্রায় ১৫-১৬ বছর আগের আবাসন প্রকল্ল যা ৪০টি অসহায় পরিবারের সম্বল ছিলো। যা এখন নদী গর্ভে বিলিন হতে যাচ্ছে।

সংবাদ পেয়ে সংবাদ আজকাল অনলাইন পত্রিকার ভার-প্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ জাহিনুর ইসলাম ও বার্তা সম্পাদক মিনহাজুল বারী দেখতে নদী পথে ওই খাটিয়ামারী চরে নৌকা যোগে যান। সেখানে গিয়ে নদী ভাঙ্গনের ভায়াবহতা দেখা যায় ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের ৪০টি ঘরের ২০টি ঘর নদী গর্ভে চলে যায়। অবশিষ্ট বাকীঁ ঘর বাড়ী লোক জন ভেঙ্গে অনত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

এ সময় এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারন করা দেখে অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ এগিয়ে আসে। এর মধ্যে একজন মহিলা হাউ মাউ করে কান্না কন্ঠে জানায়, হামাগেরে সবই গেলো বাবা, হামরা একন কুন্টি থাকমো। অন্য পাশ থেকে অরেক জন মধ্যে বয়সী মহিলা বল্লেন,
সারাদিন কামকাজ করে হামরা আনা ঘরত সুতুতচুনু, সেকনেউ নদী কারে নুলো। একন হামরা অন্য মানষের ঘরত গাদী গুদি (একঘরে কয়েকজন মিলে থাকা) করে থাকিচ্চি। সরকার যদি আনা তারাতারি হামাগেরক এডা ব্যবস্তা করলো হেনে বাবা ।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী শান্ত’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাটিয়ামারী চরের গুচ্ছোগ্রামের মানুষেরা খুব কষ্টে রয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে জুরুরী ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে অনেক জমি ও লোক জনের বড় ক্ষতি হবে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জুরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কে জানানো হয়েছে। এমপি সাহেব বাহিরে রয়েছেন, আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে খাটিয়ামারী গুচ্ছোগ্রামের মানুষদের রক্ষা ও নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গ্রহন করবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি ইতি মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কে অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগ্রই ওনারা এরিয়াটি পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

আপনার মতামত লিখুন :