সোনাতলা সুজাইতপুর গ্রামের সকিম উদ্দিন বেপারীর ছেলে মিনারুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:03 PM, 20 August 2020

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর গ্রামের সকিম উদ্দিন বেপারীর ছেলে মিনারুল ইসলাম প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, তার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম (৩২) একজন সৎ চরিত্রবান যুবক। গত২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই গ্রামের প্রতিপক্ষরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। যেকোনভাবে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো।

সুজাইতপুর গ্রামের রেলগেটের চা বিক্রেতা জাকির হোসেনের সঙ্গে তার ছোট ভাই আরিফুলের পূর্ব থেকেই আন্তরিকতা ছিলো। তিনি আরও জানান, ওই জাকির তার পারিবারিক যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য তার ছোট ভাই আরিফুলকে মাঝেমধ্যে বাড়িতে ডেকে নিয়ে শালিস করে নিত। জাকির একজন মাদক বিক্রেতা ও নেশাখোর ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। একাধিক বার কারাগারেও থেকেছে। তার ছোট ভাই আরিফুল জাকিরকে সৎ পরামর্শ দিয়ে মাদক ব্যবসা থেকে ফিরে এনেছিলো। সঙ্গবদ্ধ চক্রের ফাঁদে পরে জাকির রেলগেটের চা দোকান বিক্রি করে অটো ভ্যানগারি চালানোর পাশাপাশি পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।

বিষয়টি তার ছোট ভাই আরিফুল জানতে পেরে প্রতিবাদ করিলে গত একমাস আগে জাকিরের সাথে তর্ক-বিতর্ক, বাক বিতন্ডা ঘটে আরিফুলের । ওই সময় জাকির আরিফুলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় জাকির পুনরায় আরিফুলের সাথে কৌশলে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। অতীতের খারাপ আচরণের জন্য অনুশোচনা করে। এরপর ওই জাকির তার নাবালিকা কন্যা নুপুরকে ১ বছর আগে বিয়ে দেওয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলমান দ্ব›দ্ব নিরসনের জন্য তার ভাইয়ের সহযোগিতা চায়। তাকে নানাভাবে অনুরোধ করে বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে জাকির তার মেয়ে জামাইয়ের দ্ব›দ্ব নিরসনের জন্য গত ১৬ আগষ্ট রাত অনুমান ৮.৩০ টায় আরিফুলকে ডেকে নিয়ে ঘরে বসতে দেয়। ওই ঘরে নুপুরসহ তার আরও দুই বোন বসা ছিলো। জাকির কৌশলে স্ত্রীকে ডেকে আনার অযুহাতে ওই ঘরের বাইরে এসে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করলে আরিফুল বুঝতে পেরে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়।

এক পর্যায় আরিফুল বাড়িতে এসে বিষয়টি তার বড় ভাই মিনারুলকে জানায়। এরপর মিনারুল বিষয়টি জাকিরের কাছে জানতে চাইলে সে ভুল স্বীকার করে এবং জাকির ও তার স্ত্রী ক্ষমা চায়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জাকির পুনরায় আমাকে প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাব ও থানা পুলিশের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে গ্রামের নেতৃস্থানীয় দু’পক্ষের ব্যাক্তিগণের উপস্থিতিতে গত ১৭ আগষ্ট রাতে জাকিরের বাড়িতে আলোচনায় বসা হয়।

আলোচনা শেষে মিমাংশার একপর্যায়ে আকস্মিকভাবে সোনাতলা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে আমার ভাই আরিফুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দুই দিন আটক রাখার পর ওই জাকিরের বিবাহিত মেয়ে নুপুরকে দিয়ে ১৮ আগষ্ট বিকালে নুপুরের মা শিউলি বেগম বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বুধবার আরিফুলকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

আমি মিনারুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমার ছোট ভাই আরিফুলকে দুই দিন আটক রেখে মিথ্যা ভাবে মামলা সাজিয়ে ফাঁসানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ মামলার প্রতিবাদ করছি এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দাবি জানাচ্ছি

আপনার মতামত লিখুন :