নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আহত-৬ গাবতলীতে সংখ্যালঘু নির্যাতন থানায় মামলা ! আটক-২
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বগুড়ার গাবতলীতে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের বুজরুক গ্রামে এ ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলাসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল হান্নান জনগণের ভোটে পরাজিত হয়। ভোটে পরাজিত হয়ে আঃ হান্নান তার দলবল নিয়ে একই গ্রামের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের বিরেন্দ্র নাথ দাসের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের ফ্রিজ, আসবাবপত্র, বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে বাধা দিতে এলে মারপিটে একই পরিবারের ৬জনকে গুরুত্বর জখম করা হয়। আহতরা হলো বিরেন্দ্র নাথ দাস (৫৫), স্ত্রী গীতা রাণী (৩৫), মেয়ে কৃষ্ণা রানী (২৪), নাতনী পুজা রানী (৭), শাশুড়ী কমলা রানী দাস (৬০) এবং শ্যালকের স্ত্রী অমিতা (২৫)। এরা গাবতলী হাসপাতালে চিকিৎসা রয়েছেন। এ ঘটনায় বিরেন্দ্র নাথ দাস বাদী হয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল হান্নানকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো বুজরুক গ্রামের রমজানের ছেলে রুহুল আমিন (৩২), দিলবরের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), মৃত তছিম উদ্দিনের ছেলে পান্না প্রাং, ঠান্ডা প্রাং-এর ছেলে ফেরদৌস (৩০) ও ফকিরা (৩৫), জালালের ছেলে পিন্টু প্রাং (২০), খট্রু প্রাং এর ছেলে মিন্টু (৪০), ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মুক্তার (২২) এবং তছিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (২৮)। এদেরে মধ্যে পুলিশ ওই দিনই মেহেদী হাসান ও ফকিরাকে গ্রেফতার করে গতকাল দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে গতকাল সকালে ওই গ্রামের শত শত লোকজন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।