প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা
জাহিনুর ইসলামঃ আজ বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সোনাতলাসহ সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দূর্গাপুজা’ শেষ হল। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, দুর্গতিনাশিনী দেবী মর্ত্যলোক ছেড়ে হিমালয়ের কৈলাস সরোবরে স্বামীর বাড়িতে ফিরে গেলেন। দুর্গা যে ক’দিন পিতৃগৃহে (ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী) ছিলেন, ঢোলের বাদ্য সে ক’দিন ভক্তদের মনে ভক্তি আর আনন্দ মূর্ছনা দুই-ই জাগিয়েছে। বিজয়া দশমীতে দুর্গার বিদায় বেলায়ও চলেছে ঢাক আর শঙ্খধ্বনি, টানা মন্ত্র পাঠ, উলুধ্বনি, অঞ্জলি, ঢাকের বাজনার সঙ্গে ধুনচি নৃত্য, সিঁদুর খেলা। ধান, দূর্বা, মিষ্টি আর আবির দিয়ে দেবীকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তরা।সাধারণত নবমীর পরদিন দশমী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হয়, একই দিনে হয় বিসর্জন। তবে এবার নবমী ও দশমীর তিথি একই দিনে হওয়ায় বিসর্জনের ব্যবস্থা হয়েছে একদিন পর।
শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে দেবী দর্শন চলে দিনভর। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ৩৯ টি পূজা মন্ডবে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দূর্গাপূজা৷ প্রতিমা তৈরী থেকে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছিলো কড়া পাহারা।