বগুড়ায় স্কুল ছাত্রী মায়ীশা সেমন্তীর আত্মহত্যা নিয়ে নানা প্রশ্ন

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:27 PM, 06 July 2019

রাহেনুর ইসলাম স্বাধীন: বগুড়ায় দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ফাহমিদা মায়ীশা সেমন্তীর আত্মহত্যা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার দায় ভার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা মুখী আলোচনা ও সমালোচনা। জানা যায়, বগুড়া ওয়াই এমসি এ স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার হাসানুল মাশরেক রূমনের কন্যা ফাহমিদা মায়ীশা সেমন্তী (১৬) গত ১৭ই জুন দিবাগত রাতে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এব্যাপারে বগুড়া সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। সেমন্তীর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই পরিবারের কাছে জানতে চাওয়া হলে সেমন্তীর বাবা জানান, তার মেয়েকে প্রেমের নামে কেউ ব্লাকমেইল করেছে। একারনেই সে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে সেমন্তীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যেমে নানামুখী প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে। এছাড়াও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেমন্তীর পিতা হাসানুল মাশরেক রূমন একজন মাদকাসক্ত। এছাড়া সেমন্তীর পিতা একাধিকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। সে মাঝেমধ্যেই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার বাশায় স্ত্রী-কন্যার ওপরে অমানবিক নির্যাতন চালাতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সেমন্তী আত্মহত্যার আগের দিন রাতেও রূমন মা-মেয়েকে মারপিট করেছে। এই নির্যাতনের কারনে পিতার ওপর অভিমান করে সেমন্তী আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সে মারপিটের অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মাধ্যেমে ঘোরপাক খাচ্ছে। এঘটনায় সেমন্তীর পিতা রূমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরপরাধীদের ঘটনার সাথে জরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে । মায়ীশা কী কারনে আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

আপনার মতামত লিখুন :