বাবা,মা হত্যায় ঐশীর ফাঁসির আদেশঃ একবন্ধুর ২ বছর জেল অপরজন খালাস
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ঐশীর দুই বন্ধুর মধ্যে মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ঐশী ও তার দুই বন্ধু জনি ও রনিও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৪ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
ঐশীর দুই বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনিকে এ মামলায় হত্যাকাণ্ডে সহায়তাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে জনি শুরু থেকেই কারাগারে ছিলেন। আর রনি ছিলেন জামিনে।
অপর এক আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে। গত বছরের ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে সুমিকে জামিন দেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। গত বছরের ১ জুন গাজীপুরে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে।
গত ২০ অক্টোবর ও ৪ নভেম্বর পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান ও আসামিপক্ষে মাহবুব হাসান রানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
এ মামলায় ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিউর রহমান রুবেলসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে গ্রেফতার করা হয় অন্য দুই আসামি রনি ও জনিকে।