রাজধানীতে মেট্রোরেলের পাশাপাশি পাতালরেল নির্মিত হবে
রাজধানীতে যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের পাশাপাশি পাতালরেল নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শিঘ্রই এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার দুপুরে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় আটটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত এ সব প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় তিনি রাজধানীতে যানজট নিরসন নিয়ে আলোকপাত করেন।আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঢাকায় মেট্রোরেলের পাশাপাশি পাতালরেল নির্মাণের প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা খুব শিঘ্রই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দিয়ে একটি সমীক্ষা চালাব। সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকল্প তৈরি করব।’তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মতো এটিও স্বপ্নের প্রকল্প হবে। এতে করে বিদ্যমান যানজট একেবারেই কমে আসবে। ঢাকায় চলমান মেট্রোরেলের পাশাপাশি এ পাতালরেল প্রকল্প চলবে। এ ছাড়া, বর্তমানে যে ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমান আছে, তা অব্যাহত থাকবে।পাতালরেলের অর্থায়ন কোথা থেকে আসবে- এ প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাইল পিটারস আমাকে বলেছেন পাতালরেল প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে।’মন্ত্রী অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে পায়রা বন্দর দিয়ে পণ্য খালাস শুরু হবে। পণ্য খালাসের কাজটি হবে সীমিত আকারে। পায়রা বন্দর ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ আকারে গড়ে নরা ওঠা পর্যন্ত বহিঃনোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামার কাজ সম্পন্ন হবে। এ জন্য ওয়্যার হাউস, ক্রেইন, পন্টুন, পাইলট বোট, টাগ বোট, বয়া লেইয়িং ভেসেল, সার্ভে বোট, প্রশাসনিক ভবনসহ বন্দর কার্যক্রম পরিচালনা করতে ন্যূনতম অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।এ ন্যূনতম অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন করতে একনেক সভায় ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন’ শীর্ষক ১১২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।