সোনাতলায় ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে মারপিটে আহত যুবকের মৃত্যু
সংবাদ আজকাল ডেক্সঃ বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আড়িয়া চকনন্দন গ্রামে জমির ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় আহত স্মরন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৩/৪ মাস আগে আড়িয়া চকনন্দন এলাকার খোকা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে একই এলাকার ইলিয়াছ এর ছেলে শাহিন ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি জমি এগ্রিমেন্ট নেয়। সেই জমিতে ঘাস লাগায়, এরই মধ্যেই খোকা ওই জমিটি উপর একই গ্রামের রঞ্জু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে শাহিন কে ৬ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বলে ৮/১০ দিন পরে বাকী ৬ হাজার টাকা দিয়ে দিবো এবং তোমার ঘাস তুমি কেটে নিও। তারই ২দিন পরে রঞ্জু নামের ব্যাক্তি জমিতে গিয়ে ঘাস কেটে নেয়। বুধবার সকালে ঘাস কাটার জন্য শাহিনের স্ত্রী জমিতে গিয়ে দেখে তার লাগানো ঘাস কিছু অংশ কাটা এ নিয়ে সে চিৎকার করে বাড়ী ফেরার পথে মোকলেছুরের ছেলে রন্জুর,সোহেল সহ তার লোকজন লাঠি-সোডা নিয়ে ধাওয়া করে এলো পাতারী মারপিট করতে থাকে, এসময় তার চিৎকার শুনে স্বরণ,ও সৌরভ তাদেরকে ধাওয়াকরে, এসময় প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরদিন স্বরন ওই এলাকায় ঘুরতে গেলে রন্জু স্থানীয় রুবেল মেম্বার এর নির্দেশে স্বরণ কে এলোপাতারী মারপিট করে এতে স্বরনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি-লাথি দিয়ে আঘাত করলে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্বরণকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যায়,কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বরনের অবস্থা বেগতিক দেখে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে প্রেরন করে, সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রবিবার ভোরে মারা যায় বলে স্বরনের বাবা সাংবাদিকদের জানায়। ঘটনার দিন সোনাতলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয় বলেও সে জানায়। স্বরনের মৃত্যর পর এঘটনায় স্বরনের বাবা বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানাযায়,এদিকে স্বরনের মৃত্যর পর সোনাতলা থানা পুলিশ আজ সকালে প্রতিপক্ষের দুই জন মহিলা ও তিন জন পুরুষকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখে পুলিশ,বলে জানায় এস আই মহিউদ্দিন।