সোনাতলায় বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক ইউপি সদস্যসহ ৫জন
সংবাদ আজকাল ডেস্ক ঃ বগুড়া সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের মহিচরন এলাকা থেকে বিদুৎ দেওয়ার নামে গ্রাহকের কাজ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,ওই গ্রামের দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ ও মোহাম্মদ আলী লালল এবং ওই এলাকার ফিটু,তরুন,খলিল,মাসুদ । মহিচরন দক্ষিন পাড়া,হিন্দুপাড়া,উত্তরপাড়া এলাকার থেকে বিদ্যুৎএর সংযোগ দেওয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এব্যাপারে ওই এলাকার সংযোগ প্রত্যাসীরা জানিয়েছে তাদের কাছথেকে প্রায় ২ বৎসর আগে বিদ্যূৎ সংযোগের তালিকা করার সময় জন প্রতি ২০ টাকা কেরে সদস্য ফি ও মিটারপ্রতি ৫৫০০ টাকা,৩৫০০টাকা,২৫০০টাকা,৪৮০০টাকা করে নিয়েছে,অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন,টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তাদের সংযোগ হবেনা বলে তরিৎগতিতে টাকা নেয় লালন, কয়েকজন বলেন বিদুৎতের টাকা দিতে সুদের টাকা নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে একসপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ আসবে বলেও টাকা নেয়।দুইতিনজনের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তাদের কাছ থেকে ২শত থেকে ৩শত করে টাকা জরিমানা করেন । এব্যাপারে ওই ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি সেইসময় মেম্বার ছিলামনা,আমি কোন টাকা গ্রহন করিনি,তবে একজনকে টাকা তোলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন,তবে তিনি স্বীকার করে বলেন,আমরা মিটার প্রতি দুই হাজার করে টাকা উঠিয়েছি। এর বাহিরে কে কি করেছে আমি জানিনা। এব্যাপারে লালল এর সাথে কথা বললে লালন জানায়,বিদ্যুতের খুটি নিয়ে আসার জন্য আমরা ৫শত করে টাকা উঠাই ,পরবর্ত্তীতে ওই এলাকায় কাজ পাওয়া বিদ্যুতের ঠিকাদার একটি খুটির জন্য ৪০হাজার টাকা নেয়। এবং বিদ্যুতের লোকজনের খাবারের ব্যাবস্থা করি। গ্রাহক প্রতি ২৫শত টাকা নেওয়া ও বাড়তি ৫৫০০টাকার বিষয়ে লালন বলেন ,আমরা ৫৫০০ টাকা নেইনি টাকা নিয়েছে সোনাতলার রায়হান নামের বিদ্যুৎ টেকনিসয়ান,আমরা যে সব গ্রাহকের কাছে থেকে ২৫শত করে টাকা নিয়েছি সেখান থেকে মিটারের জন্য ১৩শত টাকা করে দেওয়ার চুক্তি হয় রায়হানের সাথে। সোনাতলা পল্লী বিদ্যূতের এজিএম কম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার সংযোগ নিতে একজন গ্রাহকের খরচ হয় আবেদন বাবদ ১০০ ও মিটারের জন্য ৬৫০ টাকা মোট ৭৫০টাকা । রায়হানের বিষয়ে বললে তিনি জানান রায়হান একজন ইলেকটিসিয়ান মাত্র ও পল্লী বিদ্যূতের কেউ না।