সোনাতলায় মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের চেষ্টা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এ কি বললেন কলেজের অধ্যক্ষ
আব্দুর রাজ্জাক স্টাফ রিপোটারঃ গতকাল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের সীমানার জমি নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমানের বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে ওই বিরোধ পূর্ণ জমিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে, এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সোনাতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে এই সংবাদ সংগ্রহের জন্য সি.এন.এন বাংলা টিভির বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার সোনাতলা প্রতিনিধি জাহিনুর ইসলাম এবং সংবাদ আজকাল অনলাইন পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার আব্দুর রাজ্জাক ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তজমিন পত্রিকার সোনাতলা উপজেলা প্রতিনিধি রিমন আহম্মেদ বিকাশসহ সাংবাদিকরা ওই নিউজ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল বালুয়াহাট ডিগ্রী কলেজে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আনিছুর রহমানের নির্মাণ করা বাড়িঘর ও তার নামীয় ওই জায়গায় একটি সাইনবোর্ডসহ কলেজ কর্তৃপক্ষের সদ্য নির্মাণ প্রাচীরের কাজ করার ছবি তুলতে গেলে ঘটনাস্থলে প্রিন্সিপাল আহসান কবীর এগিয়ে আসেন। এসময় সাংবাদিক জাহিনুর ইসলাম তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কথা হবে না, তোমরা এখান থেকে যাও । তোমরা সাংবাদিকরা এখানে কেনো এসেছো? এই কাজ ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নাই। এ সময় প্রিন্সিপাল আহসান কবীর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অশালিন ও আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন। আহসান কবীর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর জানায়, আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ীঘর নিমার্ন করে বসবাস করছি, যার সাবেক দাগ ৪২২/৬২৬ আমবাগান ১১শতাংশ সোনাতলা জে,এল নং ১৭ সি,এস খং নং-৪৯, এম আর,আর ৪৫ আর,এস মাঠ ডিপি ২১১। জোড় করে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার ওই জায়গা দখল করার পায়তারা করছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার স্ত্রী ও ভাতিজা বউকে ঘাড়ধাক্কা দেয় এবং থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমি এর বিচার চাই। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়াদিয়ে এ দেশ স্বাধিন করেছি আর এ স্বাধীন দেশে আমার মত একজন মুক্তিযোদ্ধার জমি জোর করে নিবে এ টা কেমন বিচার আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।