বগুড়ার সোনাতলায় মামলার বাদী কে আসামী পক্ষের হুমকী গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:19 PM, 03 July 2021

সংবাদ আজকাল ডেস্কঃ ৩ জুন শনিবার দুপুরে বগুড়া সোনাতলা অস্থায়ী প্রেসক্লাবে লেখিত সংবাদ সম্লেলন পাঠ করেন উপজেলার পূর্ব তেকানী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দুল লতিফ শাহিন । তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার পূর্ব তেকানী গ্রামের মৃত সিদ্দিক হোসেন আকন্দের ছেলে সাইদুল ইসলাম পুতি, আবুল কালাম, জাহিদুল ইসলাম, আবুল কালামের ছেলে পারভেজ, সাইদুল ইসলাম পুতির স্ত্রী কল্পনা বেগম, আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন বেগম ও জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী চাম্পা বেগমদের সাথে পূর্ব হতে জমিজমা ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে।

এরই একপর্যায়ে আসামীগণ সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনসহ পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দলবন্ধ হয়ে ৩০ জুন, বুধবার দুপুরে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, বটি, শাবল, সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেতে থাকে ।

এসময় নিষেধ করলে জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে সাইদুল ইসলাম পুতি ধারালো বটি দিয়ে তাকে (শাহিন) কে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়। এর উপর পুনরায় লোহার রড দিয়ে তার পায়ে আঘাত করে আবুল কালামের ছেলে পারভেজ।

উপরে উল্লেখিত অন্যান্যরা তাকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষার জন্য স্ত্রী উন্মে কুলসুম এগিয়ে গেলে জাহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম তাকে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে দিয়ে বুকে পাজরে লাঠি দ্বারা আঘাত করে ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে রক্ষার জন্য বড় ভাইয়ের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন এগিয়ে গেলে তারা তাকেও মারধর করে জখম করে।

একপর্যায়ে তারা ছাবিনা ইয়াসমিনের গলায় থাকা ৮ আনি ওজনের ৩৫ হাজার টাকা
মূল্যের স্বর্ণের চেইন কৌশলে চুরি করে। তারা তাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে রক্ষায় তার ছেলে ইফতেখাইরুল ইসলাম সোহান এগিয়ে গেলে তারা তাকেও ব্যাপক মারপিট করে। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় ৭ জন নামীয়সহ আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শাহিনের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অধ্যবধি সোনাতলা থানা পুলিশ কোন আসামীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।

শাহিন সহ অন্যান্য আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করলেও অজানা কারনে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। আর এ কারনেই আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি । তিনি আরো জানান দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার না করলে আসামীরা অপ্রতিকর ঘঠনা ঘটাতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন :