বগুড়ার সারিয়াকান্দি সরকারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি(ভি,জি,ডি) এর দুঃস্থদের চাল চেয়ারম্যান কর্তৃক অস্থায়ী কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে চুরি

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:46 PM, 23 December 2019

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে সরকারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী (ভিজিডি) এর ৫০ বস্তা চালা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) চুরি হয়েছে। ইউনিয়নে মোট ভিজিডি কার্ডধারী ২৬৫ জন। অক্টোবর ও নভেম্বর/১৯ ইং ২মাসের মোট ৫৩০ বস্তা চাল উত্তোলন করে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ গ্রাম হাওড়াখালীর তিন মাথা মোড় নামে পরিচিত অস্থায়ী কার্যালয়ে মজুদ রাখা হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর কার্ড ধারীদের মধ্যে উক্ত চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ৪৮জন কার্ডধারী অন-লাইনে নাম অন্তভুক্ত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে ৯৬ বস্তা চাল ইউপি সচিব মোজাহিদুল ইসলামের জিম্মায় রাখা হয়। ইউপি সচিব চাল বুঝে নিয়ে কার্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে চাবি তার কাছে রেখে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার)দের সার্বক্ষনিক পাহাড়ায় রেখে বাসায় যায়। শুক্রবার দিবাগত রাত পনে ১২টায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়দুল ইসলাম কয়েকজন লোক ও অটো ভ্যান সহ উপস্থিত হয়ে পাহাড়ারত গ্রাম পুলিশ শ্রী মুন্টু রবিদাস ও শ্রী রাখাল চন্দ্রর নিকট তালার চাবি চায় । পাহাড়ারত চৌকিদাররা বলে কর্তা বাবু আমাদের কাছে চাবি নায় চাবি সচিব বাবু নিয়ে গেছে। চেয়ারম্যান তখন ওদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সঙ্গীদের সহযোগীতায় প াশ বস্তা চাল অটো ভ্যানে করে নিয়ে যায়।

একথা প্রকাশ না করার জন্য চৌকিদার দের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায়। ওরা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ঘটনার বিবরণ ইউপি সচিব কে জানায়। সচিব শনিবার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সকল চৌকিদার দের ডেকে আলাপ আলোচনা করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার কে জানায়। নাজনিন আক্তার উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে ঘটনা না বলার জন্য নিষেধ করে।

নিরুপায় হয়ে সচিব ও চৌকিদার সহ উপজেলা নির্বাহি রাসেল মিয়াকে ঘটনা বিস্তারিত বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক পুলিশ সহ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান এবং সঙ্গীদের আটক ও চুরি যাওয়া ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার করার জন্য সন্দেহ ভাজন বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান। চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি এবং চাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কার্যালয়ে থাকা ৪৬ বস্তা চাল তালিকা করে সচিব, ইউপি সদস্য ও কতিপয় গণমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষর সহ সীলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আপনার মতামত লিখুন :