বগুড়া সোনাতলায় আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ পুুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ :আহত ৭জন

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:08 PM, 19 May 2021

 

জাহিনুর ইসলাম, প্রধান প্রতিবেদক সংবাদ আজকাল:
বগুড়া সোনাতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান শিল্পীর উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা চলাকালে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের উত্তেজনায় সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।ঊভয় গ্রপের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান এবং পাথর ছোড়া হয়েছে |

এতে পথ চারীসহ কমপক্ষে ৫/৭জন আহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন এ প্রতিবেদক কে জানান জানান, এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা চলাকালীন সময়ে জামায়াত-বিএনপির মদদে অর্তকিত হামলা চালায় কিছু লোকজন।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, আমার ব্যাক্তিগত অফিসে কিছু নেতা কর্মী নিয়ে মত বিনিময় করা কালীন সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক এর নেতৃত্বে কয়েক জন লাঠি সোডা নিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট করে বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চার রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করেন। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, আসলে কি বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দন্দ তা জানা নেই। ঘটনার সময় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের লোকজনদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উলেখ্য সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলন কে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সম্লেলন নে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়ে সম্মেলনের দায়িত্বরত কমিটির বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগ করেন। এ নিয়ে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।

ঘটনার স্থানে দীর্ঘ সময় নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন উপস্থিত ছিলেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে দেখা যায়।       এ রির্পোট লেখা অবদি ঘটনাস্থলে পুলিশের অবস্থান বজায় ছিলো।

আপনার মতামত লিখুন :