মুলত পরিবার থেকেই একটি শিশু তার নৈতিক চারিত্রিক ও অন্যন্য শিক্ষার বীজ বপন হয়ে থাকে ।কিন্তু পারিবারিক সহিংনসতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:07 PM, 28 January 2017

। ২০১৬ সালে দেশের মোট ৮৫৩ জন নারী পুরুষ পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন । এর মধ্য ৪৪৬ জনের মৃত্য হয়েছে । আহত হয়েছে ৪০৭ জন । নিহতের মধ্যে নারী ৩৫২ পারিবারিক সািহংসতার এসব ঘটনাকে ক্রমবদ্ধমান উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবঅধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা । ৪ঠা জানুয়ারী বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য ও উদ্বেগ জানানো হয় । দাম্পত্য কলহ পরিবারের সদ্যদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি রাগ ,অভিমান,যৌতুক ,সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা , প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এসব সহিংসতা ঘটেছে । পরিবারের তরুন বয়সী সদ্যসরায় সহিংসতার বেশি জড়িয়ে যাচ্ছে । পরিবার কিন্তু অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠাসবার পরম নির্ভরতার জায়গা এটি। কিন্তু অনেক কারণে বর্তমানে পরিবার গুলো সেই বিশ্বস্ততা হারাচ্ছে পরিবারের বয়জেষ্ট সদ্যসরা নৈতিক শিক্ষা ছোট বেলা থেকে একটি শিশুর মনে বীজ বপন করত তাহলে অনেকটাই রাস পেত সামাজিক সমস্যা গানি গুনী জনদের মতে নৈতিক মুল্যবোধের অভাবে সামাজিক সমস্যা গুলো দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে । সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে শিশু ধর্ষনের ঘটনা আশঙ্খা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী গত ২০১২ সালে ৮৬ জন ,২০১৩ সালে ১৭৯,২০১৪ সালে ১৯৯ জন ,২০১৫ সালে ৫২১ জন , ও চলতি বছরের ৮ মাসে ৩২৫ জন শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে । বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে , গত বছর জানুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৬৬ জন নারী ও শিশু এ চিত্রের বাহিরে আরও ঘটনা ঘটছে তা হয়ত লোক লজ্জার ভয়ে পারিবারিক ভাবেই সমাধান করছে অভিবাবকরা কারন কোন শিশু,কিশোরী কিংবা তরুনী ধর্ষনের শিকার হলে সে আর দশ জন মেয়ের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনা । কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষিত মেয়েটিকে অন্যন্য মেয়েদের মত স্বাভাবিক ভাবে দেখেনা । এতে তাকে তার স্বাভাবিক জীবনে পথ চলতে দুঃসহ যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় । আমাদের সমাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আজ মোটামুটি সরকার মানুষের দোর গোরায় পৈাছে দিতে সক্ষম হয়েছে । এতে বেশি ভাগ মানুষ উপকৃত হয়েছে । নিঃসন্দেহ এটি একটি আমাদের জন্য আর্শীবাদ সরুপ কিন্তু কিছু বিপদ গামী মানুষ এর অপ্যব্যবহার করছে কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত অপরাধকারী যতই চালাক হয়ে থাকুকনা কেন তারা অপরাধের কিছু চিহ্ন সে রেখে যাবে এবং সেই চিহ্ন তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য যথেষ্ট । দেশে তথ্য প্রযুক্তির আইনে তার সঠিক বিচার সম্পূন হচ্ছে এবং অপরাধী শাস্তি পাচ্ছে । কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে ক্রাইম সংঘটিত হওয়ার ফলে অনেক কিশোরী মেয়ে প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে । অনেকে এরকম সাইবার ক্রাইমের কারনে মানুষিক যন্ত্রনায় আতœ হত্যার মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তা আমাদের কারৗ কাম্য নয় । তাই প্রতিটি পরিবারের বয়োজেষ্ট সদস্যরা তাদের টি,এন ,এজ কিশোর কিশোরীদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত । এবং একটি পরিনত বয়সেই তাদের হাতে তথ্য প্রযুক্তি আর্শবাদ সরুপ মোবাইল এনডুয়েট হ্যান্ড সেটটি তাদের প্রেরন করা উচিত । আমি আসা রাখতে পারি যে আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্ট্ায় ও সচেতনতার মাধ্যমে নারী শিশু যৌন নির্যাতনের হার আমরা অনেকটাই হ্রাস করতে পারব ।

লেখক ও কলামিষ্ট
মীর মোঃ রাকিব হাসান

আপনার মতামত লিখুন :