ইউপি নির্বাচনের হাওয়া-২ গোকুল ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে
আব্দুল বারী মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড় ঝাপ তথা তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেহিসেবে অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় এ তালিকায় বাদ নেই বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। অত্র ইউনিয়নের ৪, ৫, ও ৬ নং ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্তমান ইউপি সদস্যগণ ও গতবারের প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা ছাড়াও নতুন নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীরা সময় পেলেই এলাকার ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়, পরিবারের খোঁজ খবর নেয়ার মাধ্যমে কৌশলে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তাদের স্ব- স্ব পরিচিত তুলে ধরা ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের (ধাওয়াকোলা) এ বারের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় যারা আছেন তারা হলো বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আইয়ুব খান, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা দিপু, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সমাজসেবক আলমগীর হোসেন রাঙ্গা, আফজাল হোসেন, ফজলার রহমান। এ তালিকায় বর্তমান মেম্বার নুরুল আলম ও সাবেক মেম্বার আইয়ুব খান ছাড়া সকলেই নতুন মুখ, যারা এ বার্ইে প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা যায়। বর্তমান ইউপি সদস্য নূরুল আলম জানান, গ্রামের সূধীজনদের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া না হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। অপর দিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বললে তারা সকলে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
অপরদিকে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে (গোকুল দক্ষিন) সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলো বর্তমান ইউপি সদস্য রেজাউল করিম টুলু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নুর আলম খাজা, সমাজ সেবক সামছদ্দিন সোলায়মান (সাধু), বিশিষ্ট সার ও বীজ ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম সুজন। এ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা রেজাউল করিম টুলু লাগাতার কয়েক মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জানান এবার দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হলে দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। আর যদি দলীয় মনোনয়ন না পান তাহলে তিনি ইউপি সদস্য পদেই নির্বাচন করবেন। অপরদিকে আওয়ামীগের নূর আলম খাজা বেশ কয়েকবার নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ›দ্বী হয়েছেন। তিনি জানান এলাকার গরীব, মেহনতি মানুষের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এ জন্য এলাকার মানুষ তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছেন। তাছাড়া এ ওয়ার্ডের মানুষও পরিবর্তন চাচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। অপরদিকে নতুন মুখ সামছুদ্দিন সোলায়মান সাধূ এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষে নির্বাচন করছেন বলে জানান। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম সুজন জানান এলাকাবাসী চাইলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন ।
এদিকে ইউনিয়নের ৬ নং ওর্য়াডে ( গোকুল উত্তর) সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম নুর, গতবারের নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী এমদাদুল হক দুলাল মাষ্টার, গত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী আরেক প্রার্থী শ্রমিক নেতা আপেল মাহমুদ, নতুন মুখ ুআমিনুর রহমান। বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম নুরের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, পাঁচ বছর এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি , এলাকার মানুষ চাইলে তিনি আবারো নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না চাইলে প্রার্থী হবেন না। অপরদিকে গত নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী এমদাদুল হক দুলাল মাস্টার এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে এবারো প্রার্থী হবেন। এলাকার মানুষ তাকে এবার নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়ী করার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন করার সুযোগ দিবেন বলে তিনি আশা করেন। এ ওয়ার্ডের আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক নেতা আপেল মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি জানান মাদকমুক্ত ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করাই তার মূল লক্ষ্য। এছাড়াও তিনি গরীব দুখী মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এলাকার মানুষ তার সাথে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে ৪, ৫ ও ৬ নং এর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত মাঠে বেশ তৎপর আছেন সাবেক ইউপি সদস্য মোছা. হাজেরা বেগম। তিনি গত নির্বাচনে পর থেকে এলাকার ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। তাছাড়াও অভিজ্ঞতার কারনে ব্যক্তি প্রচেষ্টায় তিনি উন্নয়নমূলক কিছু কাজ করেছেন। এ কারনে এলাকার মানুষ তার প্রতি অনেক সন্তুষ্ট বলে তিনি জানান। অপরদিকে বর্তমান মহিলা মেম্বার কামরুন নাহার নির্বাচিত হবার পর থেকে এলাকায় তার তেমন ভূমিকা না থাকায় ভোটাররা তার প্রতি অসন্তষ্ট বলে জানা যায়। যে কারনে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী নাও হতে পারেন।
বলা যেতে পারে নির্বাচনের হাওয়া ঐসব ওয়ার্ডে এই মহুর্তে জনগণের গায়ে খুব বেশি প্রভাব না ফেললেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের শরীরে ঠিকই লেগেছে। যে কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগে ভাগেই তাদের পরিচিতি ও প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভীড় জমাচ্ছেন।