খানসামায় নবিদেব প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়ম, জনগনের ভোগান্তি।
তফিজ উদ্দিন আহমেদ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার তাঁতিপাড়া মোড় হতে কাচিনীয়া পর্যন্ত ১৪.৮কিলোমিটার দৈর্ঘ এবং ৩.৬৬ মিটার প্রস্থ্য নবিদেব জাইকার বরাদ্দে নির্মানাধীন প্রায় বছর ধরে সড়কের বক্স কার্টিং করে বর্ষা মৌসুমে ফেলে রাখার ফলে পানি ও কাঁদায় জনগনের চলাফেরায় চরম ভোগন্তি,নির্মান কাজে অনিয়ম । জানা গেছে সড়কটির দু’অংশে নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো যথাক্রমে লঠ ঙঋ কঊ- ঝঅ-ঝই শহীদ আলী হোসেন সড়ক, নীরফামারী ও অপরটি হল টঈঈখ – জওলঠ২৪ই/১ গোলাপবাগ যাত্রাবাড়ী ,ঢাকা । এর মধ্যে উক্ত নীলফামারীর ঠিকাদার সড়কের দক্ষিণ অংশে পেয়েছেন ৬.৮ কি:মি: সড়কের নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৮শ ৫৩ টাকা । অপর দিকে ঢাকার ঠিকাদার সড়কের উত্তর অংশে পেয়েছেন ৮ কি:মি: সড়কের ব্রীজ সহ নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ ৮১ টাকা । সিডিউল অনুযাী নিয়ম না মেনে নিæ মানের খোয়া এবং বালু দিয়ে কাজ করানো হয় । সড়কটির দক্ষিণ অংশে হালকা ওজনের রোলার দিয়ে রোলার করানো হয় বলে এলাকাবাসী জানান। এতে সড়কের সঠিক কম্পেশন হবে না ফলে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । স¤প্রতি ঠিকাদার হালকা ওজনের রোলারটি নির্মানাধীন সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেছে । পরে ভারী রোলার দিয়ে সড়কের কাজের দৃশ্যমান দেখান এবং সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে মর্মে কর্তৃপক্ষ জানান । এ সড়কের উত্তর অংশে দু’কি:মি; সাব-বেইস হলেও বর্ষায় ধুয়ে গেছে সড়কের দু’পাশের মাটি । বেল পুকুর থেকে বলামের বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কি:মি: সড়কে বক্স কার্টিং করে ফেলে রাখায় প্রায় বছর ধরে পানি ও কাঁদায় অটো,ভ্যান,সাইকেল,টলী, চলাচলের অযোগ্য সহ জনগনের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি চরমে উঠেছে । অফিস কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কের কাজ ৪/১১/২০১৫ ইং শুরু এবং ১০/১১/২০১৬ ইং তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে । খানসামা উপজেলার প্রকৌশলী সুধির কুমার সরকারের কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিক মুটোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান সড়কের দক্ষিণ অংশের কাজ ভারী রোলার দ্বারা সঠিক ভাবে করানো হয়েছে । এবং দিনাজপুর এলজিইডি অফিস থেকে নির্মাণ কাজের পরীক্ষা সঠিক হয়েছে বলে তিনি জানান ।