ঠাকুরগাঁও চাষিরা চা চাষে আগ্রহী হচ্ছেনে
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি \ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাষি আশুতোষ বসাক তার আবাদি জমির পরিমাণ সাত বিঘা। চার বছর আগে তিনি হমের চাষ করতেন, তথন বছরে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হতো আর এখন চা চাষ জরে মাসেই তার গড় আয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
গম ভুট্টা ও ধানের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় বালিয়াডাঙ্গীর ছোট চাষিরা চা চাষে আগ্রহী হচ্ছেনে। চা-বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগও হচ্ছে অনেকের। বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গীর সীমান্ত-বর্তী নিটোলডোবা পাহাড়িয়া বেউরঝাড়ী মদমতলি, রনবাগ ও পঞ্চুরহাট গ্রামে ৭৩জন চা-চাষি আছেন।
বালিয়াডাঙ্গীর কদমতলি গ্রামের আরেক কৃষক অকুল সিংহ তিনি বলেন, তিন বছর আগে এই গ্রামে আমি প্রথম চা-বাগান করি পাঁচ থেকে সাত বছর আগে এসব জমি পতিত ছিল এবং গরু চরে বেড়াত। অকুল আরও বলেন, তিনি বাগান থেকে ১৫ দিন পর পর চা- পাতা তোলেন। গত মাসে ৩০ হাজার টাকার চা-পাতা বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন চা-চাষ খুবই লাভজনক।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী ছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর রানীশৈংকেল ও হরিপুর উপজেলার কিছু এলাকায় চা আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার ২৫ হাজার একর জমিতে চা-চাষ সম্ভব। এখানে চা-চাষ শুরু হয় ২০০৭ সালে। এখন ৩৩৫ একর জমিতে চা হচ্ছে এর প্রায় অর্ধেক ছোট ছোট বাগান। চা-বাগান ঘিরে এই জেলায় ইতিমধ্যে দুই হাজার মানুষের কমৃসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উত্তরবঙ্গ কার্যালয়ের সিয়ির ফার্ম এ্যাসিস্ট্যান্ট জায়েদ ইমাম ছিদ্দিক বলেন, ঠাকুরগাঁ হিমালয় পাদদেশের সমতল প্রান্তভূমি সিলেটের চেয়ে এখানকার মাটি চা-চাষের জন্য বেশি উপযোগী সীমানেরর ওপারে দার্জিলিংয়ের চা প্রথিবীখ্যাত। তিনি বলেন আমাদের এখানেও ভারো মানের চা উৎপাদন হবে। বড় বিনিয়োগ ও সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে এখানে চা শিল্প গড়ে উঠতে পারে।