ঠাকুরগাঁও রেকর্ড রুমের সার্ভার প্রায় ২ মাস ধরে বিকল, ভোগান্তি চরমে
আরিফুজ্জমান আরিফ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ।। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আওতাধীন রেকর্ড রুমের সার্ভার প্রায় ২ মাস ধরে বিকল রয়েছে। ফলে জমির খতিয়ানের জাবেদার নকল সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে জমি বিক্রিসহ অন্যান্য প্রয়োজনে আবেদন করেও খতিয়ান না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এর ওপর দীর্ঘ এক মাস কর্তৃপক্ষ কোনো আবেদন নিচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন গ্রাম থেকে আসা শত শত মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
ঠাকুরগাঁও রেকর্ড রুমে জেলার ৫ উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমির সিএস ও এসএ খতিয়ানের বই সংরক্ষিত রয়েছে। এখান থেকে এসব খতিয়ানের জাবেদার নকল সরবরাহ করা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে খতিয়ানের প্রায় সহস্রাধিক আবেদন নকল নবিশদের টেবিলে পড়ে রয়েছে। কবে নাগাদ এসব আবেদনকারী প্রত্যাশিত সেবা পাবেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার জানান, ঠাকুরগাঁও রেকর্ড রুম থেকে দীর্ঘ ২ মাস ধরে কোনো ধরনের খতিয়ানের জাবেদার নকল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
মাধবপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তার এলাকায় জমির মাঠ জরিপের কাজ চলছে। পর্চার জন্য কয়েকটি এসএ খতিয়ানের নকল পেতে এক মাস আগে আবেদন করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত জাবেদা হাতে পাননি।
তিনি জানান, অফিসে এলেই শুধু বলা হচ্ছে, সার্ভার নষ্ট।
এ ব্যাপারে রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি লাঘবে এখন থেকে হাতে লেখা খতিয়ান সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন যে হারে আবেদন জমা পড়ছে, জনবল সঙ্কটের কারণে সবাইকে খতিয়ান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। সার্ভার সচল না হওয়া পর্যন্ত হাতের লেখা জাবেদা সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।