নিজ প্রযুক্তিতে গ্যান্ডারী চাষে সফল জিয়াঃ
এম এ হক, দিনাজপুর প্রতিনিধি। ঈশ্বরদী জাতের গ্যান্ডারী চাষে সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার গ্রামীণ শহর রাণীরবন্দর ইয়াতিম খানা সংলগ্ন পাড়ার কৃষক আব্দুল গফফারের বড় ছেলে মোঃ জিয়ারুর রহমান জিয়া ।
জিয়া জানান, গত বছর পরিত্যক্ত এই জমিতে গ্যান্ডারী চাষ করার উদ্যোগ গ্রহন করে বেশ বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে তিনি জানায়, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক এর কাজ থেকে গ্যান্ডারী চাষে কতটুকু উপযোগী হবে এই জমি জানতে চাইলে প্রাথমিক ভাবে মাটি পরীক্ষা করে চাষ না করার পরামর্শ দেন। গ্যান্ডারী উপযুক্ত নয় এই মাটি। ফলে কৃষক লাভবান দুরের কথা ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে, কিন্তু কৃষক জিয়া তার পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাইলোট প্রদর্শনী হিসেবে মাত্র ২৫শতাংশ জায়গায় এই ঈশ্বরদী নামক গ্যান্ডারীর চারা লাগান ওই বছরে। এতে কিছু লাভ হলেও পরবর্তী বছরে অর্থাৎ চলতি মৌসুমে ৫০শতাংশ জমিতে চারা রোপনের মধ্য দিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা চালিয়ে আসছেন। চারাগুলো পূর্ণ হতে এখনো মাস খানেক সময় লাগবে। এরই মধ্যে ওই বাগান হতেই এখানকার আগ্রহী কৃষকদের কাছে প্রায় ৮০হাজার টাকার চারা বিক্রি করেন। অবশিষ্ট গ্যান্ডারী স্থানীয় বাজার দর হিসেবে বিক্রি করলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা গুনবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জিয়া আরও জানায়, সাধারণত এটি ১০-১২ফিট লম্বা ও ২-৩ইঞ্চি প্রস্থ গোলাকার হয়ে থাকে। এদিকে, তার প্রযুক্তি মতে এখানকার বেশ কিছু কৃষক গ্র্যান্ডারী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে স্থানীয় কৃষকগণ জানান। অন্যান্য মৌসুমের ফলের চেয়ে লাভবান হওয়ায় এটি চাষে ছুটে আসছেন সাধারণ কৃষক। উলেখ্য যে, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ২০০২সালে ডিগ্রী (সম্মান) পাশ করার পর চাকুরী নামক সোনার হরিনের পিছনে না ঘুরে বাবার জৎসামান্য জমিতেই বিভিন্ন রকমের ফল ও শাকসবজী চাষ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন, অবসর সময়ে বাড়ীতে নিয়মিত টিউশনি দিয়ে আসছেন। ছাত্র জীবনে ভাল মানের ছাত্র ছিলেন তিনি। সে বর্তমানে তার দু’ছেলে স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন বলে এই এলাকার একাধিক কৃষক জানান। এ ব্যাপারে এখানকার কৃষকগণ ও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগীতা ও গ্যান্ডারী চাষে ঋণ দেয়া হলে আরও বড় ধরনের সফলতা অর্জনে সক্ষম হতেন জিয়া