রুহিয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূরর্নীতির অভিযোগ
আব্দুল কাদের জিলানী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় জামাদারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্রনীতির অভিযোগ রয়েছে। জানাগেছে, জামাদার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক নেই, মাত্র ৩জন শিক্ষিকা দিয়ে চলছে দায়সাড়া শিক্ষার কার্যক্রম। ১৯৯২ সালে স্থানীয় শামসুল হক মাস্টার, ইউসুফ আলী, আব্দুল কাদের, ইদ্রীস আলীসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উদ্যোগ ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৮ই এপ্রিল সোমবার আনুমানিক বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৯৩ জন হলেও উপস্থিত পাওয়া যায় ১৬জন শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের বারান্দায় বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিউটি বেগম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পাশের গ্রামে গত রাতে ওয়াজ মাহাফিল হওয়ার কারনে বচ্চারা স্কুলে আসেনি। এদিকে, বিদ্যালয়ের অফিস রুমটি মাকড়সার জালে অপরিচ্ছন্ন থাকলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, বিদ্যালয়টি পরিষ্কার করা পিয়নের কাজ। আমরাতো পিয়ন নই ? এদিকে ওই শিক্ষিকা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন যায়গায় ফোন দিলে মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি অবৈধ ও বে-আইনি ভাবে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধুমকি দেয়। পরবর্তিতে সাংবাদিকরা উক্ত স্থান ত্যাগ করে এবং খোঁজ নিয়ে জানেন ওই হুমকিদাতা মোজাম্মেল হক মধুপুর ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
মধুপুর ধুমেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, ২০১৮ইং সালের ৫ম শ্রেণীর সমাপনি পরীক্ষার ছাড় পত্রের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শিক্ষার্থীর কাছে ২০০ শত টাকা করে চাঁদা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টি শুরু হইতে অদ্যবধি পর্যন্ত অনিয়মিত ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে বারবার গণ-সাক্ষরিত অভিযোগ পত্র জেলা, উপজেলা সহ শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয় নাই।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি এখন ব্যস্ত আছি শিক্ষা অফিস্যারের সাথে কথা বলেন, বলে ফোনটি কেঁটে দেয়। পরবর্তিতে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমি আমলে নিলাম, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।