শেষ সময়ে জমতে শুরু করেছে দিনাজপুরে ঈদ বাজার
এম এ হক, দিনাজপুর। দিনাজপুরে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ক্রেতা সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে শহরের প্রতিটি মার্কেট ও বিপনী বিদান। ঈদের দিন যতোই এগিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় ততই বাড়ছে।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা শহরের মালদহপট্টি, গনেশতলা, জেল রোড, বাহাদুর বাজার, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন স্থানের মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। মার্কেটগুলোতে কোথাও ফাঁকা নেই। ক্রেতা সমাগমে মূখর হয়ে উঠেছে। সব মার্কেটেই মহিলাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।
গত সপ্তাহ খানিক ধরে শহরের মালদহপট্টির অভিজাত বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতা সমাগমে মুখর হয়ে উঠছে। দোকানীরা ক্রেতাদের মণ আর্কষণ করতে বাহারি পোশাক আর নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
তবে বরাবরে মত এবারো দেশী পোশাকের চেয়ে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। তবে এবারে যোগ হয়েছে পাকিস্তানী কিছু থ্রী-পিস। পাকিস্তানী থ্রি-পিসের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আকৃষ্ট করে এমন নাম নিয়ে এবারও বাজারে এসেছে আর্কষণীয় ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট। গৃহিনীদের জন্য পিওর সূতী, সাউথ, কানজিবরন, কাতান বেনারশী, জামদানী।
কেনাকাটায় মহিলারা ঈদ বাজারকে প্রানবন্ত করে তুলেছে। সব দোকানে মহিলা ও তুরুনীদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। তরুনীরা ঝুঁকছে ভারতীয় কিছু আইটেমের দিকে। বাজিরাও মাস্তানী, সাহারা, দিল ওয়ালে, কালা পানি, পাংকা, লেহেঙ্গা, পাখি, দুপাট্টা, শেরওয়ানী, তুমি আসবে বলে, পাকিস্তাানি কোটি, পাতাবালি সহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক তরুনীদেরকে আকৃষ্ট করছে।
তবে গত বছরের মত এবার কিরনমালার মাতামাতি খানিকটা ম্লান হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিকে ছিট কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা কম থাকলেও বর্তমানে ছিট দোকানে প্রচুর ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ক্রেতাদের ভীড় সামাল দিতে অনেক মার্কেটেই দোকানিদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগ নারী। মেয়েরা যাচাই-বাছাই করে তবেই তাদের পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। কেহবা ভীড় এড়াতে আগে ভাগেই পছন্দের কাপড় কিনে রাখছেন। অনেকেই আবার পছন্দের পোষাকটি কিনতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন এক মার্কেট থেকে অপর মার্কেটে।
শহরের চাউলিয়াপট্টি থেকে আসা ক্রেতা সোহেল আরমান রাকিব, আফতাব উদ্দিনসহ আরো কয়েক ক্রেতা জানান, আমরা পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনেছি। তবে গত বারের তুলনায় এবারে কাপড়ের দাম অনেক বেশী। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশী হলেও বেচাকেনা ভালই হচ্ছে। চাঁদরাত পর্যন্ত এরকম ভীড় থাকবে বলেও বিক্রেতারা আশা করছেন।
বাহাদুর বাজার উত্তরা সুপার মাকের্টের ব্যবসায়ী নামজা বেগম জানান, রমজানে প্রথম দিকে তেমন বেচাকেনা হয়নি। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা ভালই হচ্ছে। তিনি জানান, ভারতীয় বাজিরাও মাস্তানী, সাহারা, দিল ওয়ালে, কালা পানিসহ অন্যান্য পোষাক বেশী বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানী পোষাকের চাহিদাও রয়েছে।
এদিকে মালদহপট্টির মিলন বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মোফাসিলুল মাজেদ বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে এবারে ক্রেতাদের সুতি পোষাকই বেশী পছন্দ। তবে প্রতিদিন ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালই হচ্ছে বলে তিনি জানান।